Connect with us

আইন-বিচার

এস কে সিনহার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২২ জানুয়ারি

Avatar of author

Published

on

এস কে সিনহা

যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ির সন্ধান পাওয়ায় দুদকের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ও তার ভাই অনন্ত কুমার সিনহার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। এদিন দুদক প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান নতুন এদিন ধার্য করেন।

দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আক্কাস আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে তিনতলা বাড়ির সন্ধান পাওয়ায় গেলো বছরের ৩১ মার্চ এসকে সিনহা ও তার ভাই অনন্ত কুমার সিনহার বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।

মামলায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ আনা হয়।

Advertisement

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১২ জুন যুক্তরাষ্ট্রে এস কে সিনহার জন্য তিনতলা একটি বাড়ি কেনেন তার ভাই অনন্ত কুমার। যার দাম দুই লাখ ৮০ হাজার ডলার, সেই সময়ে ৮৬ টাকা ডলার ধরলে বাংলাদেশি মুদ্রায় যা দাঁড়ায় দুই কোটি ৪০ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

এই বাড়ি কেনার আগে ৩০ বছরের কিস্তিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে নিজের জন্য এক লাখ ৮০ হাজার ডলার ব্যাংক ঋণ নিয়ে আরও একটি বাড়ি কিনেছিলেন অনন্ত কুমার সিনহা। পেশায় দন্ত চিকিৎসক অনন্ত প্রথম বাড়িটি কিস্তিতে কিনলেও নিজের ভাইয়ের জন্য নগদ টাকায় বাড়ি কেনেন।

মামলার বিবরণে আরও জানা যায়, ২০১৮ সালের ৫ মার্চ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত অনন্ত কুমার সিনহার নিউ জার্সির প্যাটারসনে অবস্থিত ভ্যালি ন্যাশনাল ব্যাংকের একটি হিসাবে ৬০ হাজার ডলার জমা হয়। ওই একই হিসাবে অন্য একটি উৎস থেকে একই বছরের ১১ এপ্রিল থেকে ২০ জুন পর্যন্ত এক লাখ ৯৬ হাজার ৪৫৮ ডলার জমা হয়। এস কে সিনহার বাড়ি কেনার বা বিদেশে অর্থপাচারের বৈধ কোনো উৎসের সন্ধান পায়নি সংস্থাটি।

দুদক সংশ্লিষ্ট সূত্র মনে করে, এস কে সিনহা বিভিন্ন সময়ে ঘুষ হিসেবে যেসব টাকা গ্রহণ করেছেন তা বিদেশে পাচার করেন। দুদক তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ আনে।

এছাড়া সাবেক ফারমার্স ব্যাংক বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মামলায় আলাদাভাবে এস কে সিনহাকে চার বছর এবং সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

Advertisement
Advertisement

আইন-বিচার

কোটাবিরোধীদের যে অনুরোধ করলেন অ্যাটর্নি জেনারেল

Published

on

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন
ফাইল ছবি

আদালত  একটি আদেশ (কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা) দিয়েছেন। সে আদেশের বিরুদ্ধে সরকার তো আপিল বিভাগে গিয়েছে। এই মুহূর্তে, আদালতের প্রতি যে আন্দোলনটা , আমি মনে করি যে এটা না করাই উচিত হবে। বললেন, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

সোমবার (৮ জুলাই) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে নিজ কার্যালয়ে আন্দোলনকারীদের প্রতি এ অনুরোধ জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।

এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, তিনি সরকারের পক্ষ থেকে এই মামলাটির হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছেন। তাঁরা শুধু আইনগত বিষয়টা দেখছেন। কোটা রাখা না রাখা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এইখানে আদালত কতটুকু হস্তক্ষেপ করতে পারে সেটাই রাষ্ট্রপক্ষ আদালতের সামনে তুলে ধরেছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে কোটা পদ্ধতি বাতিলের সরকারের পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষারসহ সাতজন। পরে এ বছর জুনে ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করে জারী করা সরকারি পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

ইসলামী ব্যাংকের ৩৩০০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি, বাংলাদেশ ব্যাংকে দুদকের চিঠি

Published

on

২০২২ সালের ডিসেম্বরে ইসলামী ব্যাংকের তিন হাজার ৩০০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় বিস্তারিত জানতে বাংলাদেশে ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই বছর ব্যাংকটির চট্টগ্রামের তিনটি শাখার মাধ্যমে বিতরণ করা প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বেনামি ঋণের খোঁজ পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নামসর্বস্ব এসব কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে নতুন ঋণ সৃষ্টি করে আগের দায় সমন্বয় করা হয়েছে। ঋণ অনুমোদন ও বিতরণের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া এসব ঋণ ফেরত অথবা খেলাপি করতে বলা হয়েছে।

আলোচিত ওই ঋণ কেলেঙ্কারির তথ্য জানতে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে দুদকের একটি সূত্র গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে, বিনিয়োগের অর্থের যথাযথ ব্যবহার না হওয়ার দায়-দায়িত্ব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঋণ অনুমোদনের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং শাখা ব্যবস্থাপনার ওপর বর্তায়।

সে সময় ইসলামী ব্যাংকের এমডির কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখা থেকে সেঞ্চুরি ফুড প্রডাক্ট, জুবিলী রোড শাখা থেকে ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স ও চাক্তাই শাখা থেকে মুরাদ এন্টারপ্রাইজ নামে প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে নির্বাহী কমিটির ১৯৫৯তম সভায় বিনিয়োগ অনুমোদন করা হয়েছে। এসব বিনিয়োগের মেয়াদ ইতোমধ্যে অতিক্রম করায় বকেয়া স্থিতি অবিলম্বে ১৫ দিনের মধ্যে আদায় করতে হবে। আর আদায় করতে না পারলে ক্ষতিজনক, মানে খেলাপি করে জানাতে হবে। সেই সঙ্গে এ বিনিয়োগ সুবিধা দেয়ার সুপারিশ, অনুমোদন ও সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়ার সঙ্গে জড়িত সব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে জানাতেও ওই চিঠিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

কাস্টমস কমিশনার এনামুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

Published

on

প্রায় ১০ কোটি টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন আদালত।

আজ সোমবার (৮ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেয়া হয়।

এর আগে গত ৪ জুলাই এনামুলের ৮ কোটি ৯৫ লাখ ৪ হাজার ৫০০ টাকার জমি ও ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওইদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ফারজানা ইয়াসমিন সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করেন।

ওই আবেদনে বলা হয়, ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৯৭ হাজার ১০৭ টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এনামুল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা দায়ের করে।

জব্দকৃত সম্পত্তির মধ্যে গুলশানের জোয়ার সাহারায় ৬১ লাখ টাকার তিন কাঠা জমি, খিলক্ষেত্রে ৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকার ৩৩ শতাংশ জমি, কাকরাইলের আইরিশ নূরজাহানে কমনস্পেসসহ ১১৭০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, যার মূল্য ২৮ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ টাকা, একই ভবনে কারপার্কি স্পেসহ ১৮৩৫ বর্গফুট ফ্ল্যাট। এর মূল্য ৫১ লাখ ২৯০০ হাজার টাকা। এছাড়া কাকরাইলে ১৯০০ বর্গফুট ও ৩৮০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটসহ কারপার্কিং রয়েছে যার মূল্য ২ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গাজীপুরে ৬২ লাখ ৪০ হাজার টাকার পাচ কাঠা জমি। মোহাম্মদপুরে তিনটি বাণিজ্যিক ভবনে চার হাজার বর্গফুটের তিনটি স্পেস। যার প্রতিটির মূল্য ৭১ লাখ ৩৫ হাজার করে। এছাড়া মোহাম্মদপুরে ১০ হাজার ৯৬৫ বর্গফুটের স্পেস রয়েছে যার মূল্য দুই কোটি ৩৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এছাড়া গুলশানের ৭২ লাখ টাকার ২৪২৮ বর্গফুটের ফ্ল্যাট এবং বাড্ডায় চার কাঠা নাল জমি যার মূল্য ১৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।

Advertisement

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত