Connect with us

বাংলাদেশ

জিয়াউর রহমানের কবর সরাতে আল্টিমেটাম

Published

on

জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করতে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন ও তার কবর জাতীয় সংসদ এলাকা থেকে অপসারণ করার দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়েছে ‘মায়ের কান্না’ নামে একটি সংগঠন।

সংগঠনের নেতারা বলেন, কবর অপসারণ করা না হলে আগামী ১ ডিসেম্বরে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের সদস্যরা জিয়ার কবর অপসারণের প্রাথমিক কাজ শুরু করবে।

রোববার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে সংগঠনটি আয়োজিত ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর সেনা ও বিমান বাহিনীর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত, চাকরিচ্যুত এবং ফাঁসি দেয়া সদস্যদের স্বজনরা এক সংবাদ সম্মেলনে এ আল্টিমেটাম দেন।

মায়ের কান্না সংগঠনের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান মিয়া লেলিন বলেন, একটি চিঠি দিয়ে আমার মাকে জানানো হয়েছিল আপনার স্বামীকে মারা হয়েছে। শুধু চিঠি পেয়েছি কিন্তু লাশ পাইনি। রাতের আধারে আজিমপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়। কিন্তু আজও আমরা আমাদের বাবাদের বিচার ও লাশ শনাক্ত করতে পারিনি।

কর্পোরাল মোবারক আলীর সন্তান মমতাজ বেগম বলেন, আমার ছয় মাস বয়সে বাবাকে হত্যা করে জিয়াউর রহমান। আমাদের বাবার মরদেহ কোথায় আমরা তা জানি না। কোন অপরাধে তাদের ফাঁসি দিলো খুনি জিয়া সেটাও জানি না। রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে আমি আমার বাবার দাফনের স্থান কোথায় সেটা জানতে চাই? আমাদের মায়ের কান্না দেখেই বড় হয়েছি পিতৃহীন হয়ে, অনাদরে অবহেলায়। মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করে আমাদের বাবারা দেশকে স্বাধীন করতে শুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। অথচ আমরা জানি না কোথায় তাদের কবর? কেন তাদের হত্যা করা হলো এই স্বাধীন বাংলাদেশে?

Advertisement

লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফাঁসি হওয়া বিমান বাহিনীর সার্জেন্ট আবুল বাশার খানের মেয়ে বিলকিস বেগম। 

তিনি বলেন, ১৯৭৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে জাপান রেড আর্মির সদস্যরা জাপান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ছিনতাই করে। সেই বিমানটি জোরপূর্বক ঢাকা বিমান বন্দরে (পুরাতন তেজগাঁও বিমান বন্দরে) অবতরণ করায়। বিমান ছিনতাই এবং যাত্রী জিম্মির ঘটনায় ঢাকা সেনানিবাস এবং বিমানবন্দর এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ১৯৭৭ সালের ১ অক্টোবর বিমান ছিনতাই ঘটনার অবসান ঘটে। কিন্তু সুযোগ বুঝে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে বিমান বাহিনীর সৈনিক ব্যারাকে বিদ্রোহের সূত্রপাত করান। কারণ তিনি বিমান বাহিনীকে সেনাবাহিনীর মধ্যে আত্মীকরণ করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চেয়েছিলেন। 

সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত ছিলেন না বিমান বাহিনীর তৎকালীন সদস্যরা। জাপানি বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনার সুযোগে জিয়া কিছু সৈনিককে লেলিয়ে দিয়ে বিমান বাহিনীর ১১ জন অফিসারকে গুলি করে হত্যা করায়। এই ঘটনাকে পুঁজি করে বিদ্রোহ দমনের নামে নির্বিচারে বিমান বাহিনী বেশিরভাগ মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকদের গ্রেপ্তার ও গুম শুরু করে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর তথাকথিত বিদ্রোহ দমনের নামে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকদের আগে ফাঁসি কার্যকর করে, পরে কোর্ট মার্শালে বিচার করা হয়েছে। ফাঁসি কার্যকর শুরু হয় ১৯৭৭ সালের ৯ অক্টোবর। অথচ বিদ্রোহ দমনের বিচার কাজের আইন পাস হয় ১৪ অক্টোবর। জিয়া ঘোষিত মার্শাল ল’ ট্রাইব্যুনাল গুলোতে বিচার প্রহসনের সময় একজন সৈনিকেরা জীবন মরণের সিদ্ধান্ত নিতে গড়ে ১ মিনিটের চেয়েও কম সময় দিয়েছিলেন তৎকালীন ট্রাইব্যুনাল প্রধানরা। 

পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর হওয়া ১২১ জনের তালিকা পাওয়া গেছে। কুমিল্লা কারাগারে ৭২ জনের নামের তালিকা পাওয়া গেছে। বগুড়া কারাগারে ১৬ জন, রংপুরে ৭ জনের নামের তালিকা পাওয়া গেছে। কিন্তু বিমান বাহিনী সদর দপ্তরের হিসেবে ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর পরবর্তী সময়ে ৫৬১ জন সৈনিক নিখোঁজ হয়েছেন। যাদের কখনই আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

Advertisement

ঠিক একই সময়ে বগুড়া ক্যান্টনমেন্টে ২২ বেঙ্গল বিদ্রোহ করলে জিয়া পুরো ইউনিটের সদস্যদের শুম করে দেয়। যাদের সংখ্যা দুই শতাধিক। সেনাবাহিনীর গুম হওয়া সদস্যদের বেশিরভাগ বীর মুক্তিযোদ্ধা। যাদের ফাঁসিতে নয় ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যু নিশ্চিত করেছিল জিয়া।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সংগঠন মায়ের কান্নার পক্ষ থেকে সরকারের কাছে ৫ দফা দাবি পেশ করা হয়। দাবিগুলো হলো…

১) ফাঁসি হওয়া সদস্যদের কোথায় সমাহিত করা হয়েছে রাষ্ট্রীয়ভাবে সেই স্থান চিহ্নিত করে দিতে হবে

২) অন্যায়ভাবে ফাঁসি হওয়া সদস্যদের নামের তালিকা প্রকাশ করা এবং শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।

৩) নিহত সদস্যদের স্ব-স্ব পদে সর্বোচ্চ র্যাং্কে পদোন্নতি দেখিয়ে বর্তমান স্কেলে বেতন-ভাতা, পেনশনসহ পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসন ও সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

Advertisement

৪) জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করতে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।

৫) জিয়াউর রহমানের কবর জাতীয় সংসদ এলাকা থেকে অপসারণ করতে হবে। অন্যথায়, আগামী ১ ডিসেম্বর মায়ের কান্না সংগঠনের সদস্যরা কবর অপসারণের প্রাথমিক কাজ শুরু করবে।

Advertisement

দুর্ঘটনা

দুই জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরলো ৪ প্রাণ, আহত ১১ জন

Avatar of author

Published

on

সড়ক দুর্ঘটনা

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় ট্রাকচাপায় ইজিবাইকের দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। একইদিনে গাজীপুরের শ্রীপুরে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

শনিবার (৪ মে) সকালে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট-শ্রীনদী আঞ্চলিক সড়কের কাঁঠালিয়া ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে শ্রীপুরে ওই ঘটনায় আরও ১১ শ্রমিক আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ৭টার দিকে রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট-শ্রীনদী আঞ্চলিক সড়কের কাঁঠালিয়া ব্রিজের কাছে শ্রীনদীগামী একটি ট্রাক অপরদিক থেকে আসা টেকেরহাটগামী যাত্রীবাহী একটি ইজিবাইককে চাপা দেয়। এতে ইজিবাইকের দুই যাত্রী হোসেন আলী মুন্সী ও ধলু হাওলাদার ঘটনাস্থলেই মারা যান।
নিহতরা হলেন, সুনামগঞ্জের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাসেল মিয়া (২৫) ও তার জামাতা আবু সুফিয়ান (২৫)।

অন্যদিকে, শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বেলাল আহমেদ গণামাধ্যমে জানান, একটি পিকআপে করে মিক্সার মেশিন ও ১৩ জন শ্রমিক ঢালাই কাজে শ্রীপুর থেকে মাওনা অভিমুখে আনসার রোড এলাকায় যাচ্ছিলেন। তাদের বহনকারী পিকআপটি শনিবার (৪ মে) ভোর সাড়ে চারটার দিকে শ্রীপুর-মাওনা আঞ্চলিক সড়কের ভাংনাহাটি কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে আসা মাত্রই পেছন থেকে একটি ডাম্পট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে পিকআপ উল্টে মিক্সার মেশিনের নিচে চাপা পড়েন শ্রমিকরা। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই রাসেল মিয়া নিহত হন। আহত ১২ জনকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু সুফিয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

জাল দলিলে ব্যাংকের ৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ

Avatar of author

Published

on

জাল-দলিলে-ব্যাংকের-কোটি-টাকা-আত্মসাৎ

অভিনব কৌশলে একই ফ্ল্যাট একাধিক ব্যাংকে মর্টগেজ রেখে লোনের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে একটি চক্র। বিষয়টি এতদিন গোপন থাকলেও সম্প্রতি সিআইডির এক অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। এই ঘটনায় চক্রটির ১১ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।

শুক্রবার (৩ মে) অভিযান চালিয়ে তাদের কাছ থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরিকৃত একই ফ্ল্যাটের একাধিক নকল দলিল ও দলিল রিসিট, প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিলমোহর, একই ব্যক্তির একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র, টিন, ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন, বিভিন্ন ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডসহ নগদ কয়েক লাখ টাকা জব্দ করা হয়।

এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড জয়নাল আবেদীন নামে এক ব্যক্তি। তিনিসহ গ্রেপ্তার চক্রের প্রধান ব্যক্তিরা হলেন প্রধান সহযোগী রাকিব হোসেন (৩৩), জয়নালের ভায়রা ভাই এম মোস্তাফিজুর রহমান (৫৪), জাল কাগজপত্র ও এনআইডি প্রস্তুতকারক লিটন মাহমুদ (৪০), ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল প্রস্তুতকারক হাবিবুর রহমান ওরফে মিঠু (৩০), ব্যাংক কর্মকর্তা হিরু মোল্যা (৪৪), আব্দুস সাত্তার (৫৪) ও সৈয়দ তারেক আলী (৫৪)।

সিআইডি বলছে, এখন পযর্ন্ত চক্রটির ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, এই চক্রের সাথে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন পরিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও দালাল, ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারী, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন অসাধু কর্মী জড়িত।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।

Advertisement

উদ্ধারকৃত-টাকা,-দলিল

চক্রটি ব্যাংক লোন হাতিয়ে নিত যেভাবে

সিআইডি প্রধান জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন পরিদপ্তরের কিছু অসাধু সদস্যের সক্রিয় সহযোগিতায় চক্রের সদস্যদের নামে একাধিক সক্রিয় জাতীয় পরিচয়পত্র ও কর দেয়ার টিন তৈরি করা হয়। পরে এসব ব্যবহার করে চক্রের সদস্যরা ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের কিছু অসাধু লোকের মাধ্যমে নিজেদের নামে ফ্ল্যাট/জমির একাধিক মূল দলিল তৈরি করত। এরপর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে তৈরিকৃত একাধিক দলিল দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মর্টগেজ রাখত। শেষে একটি ফ্ল্যাটের বিপরীতে একাধিক লোন গ্রহণ করত। এখন পর্যন্ত তারা এমন প্রতারণা করে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে সিআইডির অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।

মোহাম্মদ আলী মিয়া জানান, এই সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের মূল হোতা জয়নাল আবেদীন ওরফে ইদ্রিস। তারা রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের ক্রেতা হিসেবে হাজির হতেন। সেই ফ্ল্যাট কেনার জন্য শুরুতে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট বায়না করতেন। এরপর ফ্ল্যাটের মালিকানার তথ্য যাচাইয়ের কথা বলে মালিকের কাছ থেকে দলিল এবং অন্যান্য কাগজপত্রের কপি সংগ্রহ করতেন। ফ্ল্যাটের মালিকের কাছ থেকে নেয়া দলিল এবং অন্যান্য কাগজপত্রের তথ্য নিয়ে ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের কিছু অসাধু লোকের মাধ্যমে তৈরি করা হতো জাল দলিল।

জয়নাল আবেদীন ওরফে ইদ্রিস জাল দলিলে কখনো নিজে মালিক হতেন, আবার কখনো চক্রের অন্যান্য সদস্যদের মালিক বানাতেন। এরপর সেই জাল দলিল দিয়ে ফ্ল্যাট বিক্রির ফাঁদ পাততেন তারা। ফ্ল্যাট পছন্দ হলে ক্রেতার কাছ থেকে বায়না বাবদ অগ্রিম টাকাও নিতেন জয়নাল। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে রেজিস্ট্রিকৃত ক্ষমতা অর্পণ দলিল দেখিয়ে ক্রেতার নামে ব্যাংক ঋণ নিয়ে সেই টাকাও আত্মসাৎ করতেন। এভাবে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ফ্ল্যাটের জাল দলিলে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাতিয়ে নিয়েছে শত কোটি টাকা।

সিআইডির অনুসন্ধানে আরও বেরিয়ে এসেছে, চক্রটির প্রতারণায় ঢাকার অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট বিক্রির ফাঁদে পড়ে পথে বসেছেন বহু ফ্ল্যাট মালিক। পাশাপাশি সম্ভাব্য ফ্ল্যাট ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা এবং ব্যাংক ঋণের বোঝা চাপিয়ে তাদের নিঃস্ব করেছেন তারা।

জাল দলিলে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে জয়নাল আবেদীনের মালিকাধীন প্রতিষ্ঠান রুমানা জুয়েলার্স, নীড় এস্টেট প্রোপার্টিস লিমিটেড, হোসেন এন্টারপ্রাইজ, ই আর ইন্টারন্যাশনালসহ চক্রের ২৫ জন সদস্যের বিরুদ্ধে ডিএমপির উত্তরা-পূর্ব থানায় মানিলন্ডারিং আইনে মামলা করেছে সিআইডি।

 

Advertisement

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

উপজেলা চেয়ারম্যানকে গুলি করার অভিযোগ নিয়ে যা জানালেন বদি

Avatar of author

Published

on

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলমকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক সংসদ-সদস্য আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে। গেলো বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে ভুক্তভোগী নিজেই জানিয়েছেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, যেহেতু আমি আবারও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করছি, সে লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বিকালে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত একটি আলোচনা সভা শেষ করি। পরে রাতে হোয়াইক্যংয়ের কম্বনিয়া পাড়া, পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ার মুরব্বি এবং মেম্বারদের সঙ্গে দেখা করি। এ সময় আমরা প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জনের মতো লোক দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম। সেখানে হঠাৎ সাবেক এমপি বদি ও জাফর চেয়ারম্যানসহ ২০ থেকে ৩০ জন লোক আমাকে লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। চেয়ারম্যান নুরুল আলমের দাবি, আব্দুর রহমান বদি নিজেই তার পিস্তল দিয়ে গুলি করেছেন।

গেলো শুক্রবার (৩ মে) রাতে টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন বদি।

তিনি বলেন, টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আলম চেয়ারম্যান বিভিন্ন কৌশলে আমার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আহম্মদের সঙ্গে বাহারছড়া ইউনিয়নে প্রচারণা শেষে বাড়ি ফেরার পথে জানতে পারি জাফর আহাম্মদের সমর্থক সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে নুরুল আলম চেয়ারম্যানের কিছু কর্মী জোরপূর্বক আটকে রেখেছে।

পরে জাফর আহম্মদসহ আমরা হোয়াইক্যং এলাকায় তাকে উদ্ধারের জন্য যাই। এ সময় পাশের একটি বাড়িতে বিবাহ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে আতশবাজি ফোটানো হচ্ছিল। আমরা তাকে উদ্ধার করে চলে আসার পর তারা ওই আতশবাজির আওয়াজকে গুলিতে রূপান্তরিত করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বদি গুলি করেছে মর্মে খবর ছড়িয়ে দেয়।

Advertisement

এ বিষয়ে টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম এ বিষয়ে একটি জিডি দায়ের করেছেন। তার জিডি’র অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সড়ক দুর্ঘটনা সড়ক দুর্ঘটনা
দুর্ঘটনা14 mins ago

দুই জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরলো ৪ প্রাণ, আহত ১১ জন

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় ট্রাকচাপায় ইজিবাইকের দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। একইদিনে গাজীপুরের শ্রীপুরে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। শনিবার...

জাল-দলিলে-ব্যাংকের-কোটি-টাকা-আত্মসাৎ জাল-দলিলে-ব্যাংকের-কোটি-টাকা-আত্মসাৎ
অপরাধ29 mins ago

জাল দলিলে ব্যাংকের ৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ

অভিনব কৌশলে একই ফ্ল্যাট একাধিক ব্যাংকে মর্টগেজ রেখে লোনের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে একটি চক্র। বিষয়টি এতদিন...

অপরাধ34 mins ago

উপজেলা চেয়ারম্যানকে গুলি করার অভিযোগ নিয়ে যা জানালেন বদি

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলমকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক সংসদ-সদস্য আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে। গেলো বৃহস্পতিবার...

জাতীয়57 mins ago

বাংলাদেশে গণমাধ্যম উন্মুক্ত হয়ে আছে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

বাংলাদেশে গণমাধ্যম মুক্ত নয়, উন্মুক্ত হয়ে আছে। তাই বর্ডার লাইন টানা দরকার। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কথা হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীরা আমাদের...

ডিবি-হারুন ডিবি-হারুন
অপরাধ1 hour ago

মিল্টনের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে: হারুন

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ...

নকল-ওরস্যালাইন,-গ্রেপ্তার নকল-ওরস্যালাইন,-গ্রেপ্তার
অপরাধ3 hours ago

বিপুল পরিমাণ নকল ওরস্যালাইন জব্দ, গ্রেপ্তার ৩

দেশ জুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এমন আবহাওয়ায় বেড়ে যায় খাবার ওরস্যালাইনের চাহিদা। এই সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির অসাধুচক্র কারখানা স্থাপন...

জাতীয়3 hours ago

বাড়ছে ট্রেনভাড়া, কোন রুটে কত জেনে নিন

ঢাকা থেকে ট্রেনে গাজীপুরে যেতে প্রতি কিলোমিটারে যাত্রীদের যত টাকা ভাড়া গুণতে হয়, এরচেয়ে পঞ্চগড়, খুলনা বা চট্টগ্রাম যেতে কম...

ট্রেনের সংঘর্ষ ট্রেনের সংঘর্ষ
জাতীয়4 hours ago

ট্রেন দুর্ঘটনা: শেষ হয়নি উদ্ধারকাজ, ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়

গাজীপুরে তেলবাহী ট্রেন ও যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় রাতভর চলেছে অভিযান। ২৪ ঘণ্টা পার হলেও শেষ হয়নি উদ্ধারকাজ।...

মাদকবিরোধী মাদকবিরোধী
অপরাধ4 hours ago

মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২৬

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও...

বাংলাদেশ5 hours ago

দুই ঘণ্টা পর সড়ক ছাড়লো শ্রমিকরা

রাজধানীর বনানীতে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে পোশাক শ্রমিকরা। প্রায় দুই ঘণ্টা পর ওই এলাকাসহ আশপাশের...

Advertisement
ফিলিস্তিন-হামলা
আন্তর্জাতিক10 mins ago

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হামাস

সড়ক দুর্ঘটনা
দুর্ঘটনা14 mins ago

দুই জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরলো ৪ প্রাণ, আহত ১১ জন

ঢাকা26 mins ago

ভাঙ্গা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেললাইন চালু হবে : রেলমন্ত্রী

রিজভী
বিএনপি28 mins ago

দস্যুর মতো ক্ষমতায় বসে আছে সরকার: রিজভী

জাল-দলিলে-ব্যাংকের-কোটি-টাকা-আত্মসাৎ
অপরাধ29 mins ago

জাল দলিলে ব্যাংকের ৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ

অপরাধ34 mins ago

উপজেলা চেয়ারম্যানকে গুলি করার অভিযোগ নিয়ে যা জানালেন বদি

আন্তর্জাতিক48 mins ago

১৭ রোগীকে হত্যার দায়ে নার্সের ৭৬০ বছরের কারাদণ্ড

জাতীয়57 mins ago

বাংলাদেশে গণমাধ্যম উন্মুক্ত হয়ে আছে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

শত্রুঘ্ন সিনহা, সোনাক্ষী সিনহা
বলিউড1 hour ago

বাবা-মা-ভাই রাজনীতিতে যুক্ত, যে কারণে এতে আসতে চান না সোনাক্ষী

ফুটবল1 hour ago

কাদিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরছেন কোর্তোয়া

বৃষ্টির পূর্বাভাস
আবহাওয়া7 days ago

রাতের মধ্যে যেসব জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ হতে পারে বৃষ্টি

ঢাকা4 days ago

টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার

অপরাধ3 days ago

শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র‍্যাব কর্মকর্তা

টুকিটাকি5 days ago

সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও

ভারতের-তামিলনাড়ুর-দেবঙ্গ-আর্ট-কলেজের-সাবেক-সহকারী-অধ্যাপক-নির্মলা-দেবী
আন্তর্জাতিক2 days ago

যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!

দেশজুড়ে3 days ago

‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা

খুলনা6 days ago

গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু

তথ্য-প্রযুক্তি1 day ago

গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি

ঢালিউড2 days ago

শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

পরামর্শ2 days ago

পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’

উত্তর আমেরিকা1 week ago

সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)

ব্যারিস্টার-সুমন
আইন-বিচার2 weeks ago

বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনা
জাতীয়1 month ago

গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী

ফুটবল1 month ago

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু

টুকিটাকি1 month ago

জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!

অর্থনীতি2 months ago

বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া

রেশমা
বাংলাদেশ2 months ago

রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ

হলিউড2 months ago

নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু

ফুটবল2 months ago

জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব

টুকিটাকি2 months ago

রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর

সর্বাধিক পঠিত