উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধা জেলার আরও চারটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ইউনিয়নগুলো হচ্ছে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর, সদর উপজেলার কামারজানি, ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ও সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া। এ নিয়ে জেলার ১৫ টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হলো। এসব ইউনিয়নের প্রায় সাত হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এ দিকে গত ২৪ ঘন্টায় ব্রাহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বেড়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকাল চারটায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ফুলছড়ি উপজেলার বালাসী পয়েন্টে ৫০সেন্টিমিটার এবং ঘাঘটের পানি জেলা নতুন ব্রিজ এলাকায় বিপদ সীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তা ও করতোয়ার পানি আজ বিকেলে বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোখলেছুর রহমান বলেন, পানি বাড়লেও বড় বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই। কয়েক দিনের মধ্যেই পানি কমা শুরু হবে।
অপরদিকে বন্যার কারণে জেলার চার উপজেলার ১ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমির রোপা আমন ও শাক সবজি ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে। বন্যা কবলিত বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। পানি বন্দীদের উদ্ধারে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। এছাড়া পানিবন্দী মধ্য ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ এখনও শুরু হয়নি।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন মোঃ আব্দুল মতিন বলেন, বন্যা কবলিত জেলার চারটি উপজেলায় দুই লাখ টাকা ও ৮০ মেট্রিক চাল বরাদ্ধ করা হয়েছে। শীঘ্রই এগুলো বিতরণ করা হবে।
মুনিয়া