বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আন্তর্জাতিক মানের ‘বঙ্গবন্ধু ক্যানসার সেন্টার’ চালু করা হবে। এই সেন্টারের কার্যক্রম হবে ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত ও ক্যানসার প্রতিরোধে গবেষণা করা। বললেন বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (১ মার্চ) সকালে এ কথা জানান তিনি।
উপাচার্য শারফুদ্দিন বলেন, এরইমধ্যে আমেরিকা, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউটের সঙ্গে আমরা সম্মিলিতভাবে গবেষণা কার্যক্রম শুরু করেছি। আজ জাপানের ন্যাশনাল ক্যানসার সেন্টারের সঙ্গে আলোচনা এরই ধারাবাহিকতার অংশ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ক্যানসার চিকিৎসা ও গবেষণার মানোন্নয়নে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ভিশন ২০৪১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ক্যানসার সেন্টার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসার উন্নয়নে ও আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিতে বঙ্গবন্ধু ক্যানসার সেন্টার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে জাপানের ন্যাশনাল ক্যানসার সেন্টারের সহযোগিতা কামনা করেন।
এর আগে মঙ্গলবার জাপানের টোকিওতে অবস্থিত বিশ্বমানের ক্যানসার গবেষণায় পথিকৃৎ ন্যাশনাল ক্যানসার সেন্টারে প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি গবেষক ও চিকিৎসক হিসেবে লেকচার প্রদান করার সম্মাননা পান শারফুদ্দিন আহমেদ। এ অনুষ্ঠানে তিনি ‘বাংলাদেশের ক্যানসার পরিস্থিতি ও ক্যানসার চিকিৎসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা’ শীর্ষক লেকচার প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাপানের ন্যাশনাল ক্যান্সার সেন্টারের ডিভিশন অব প্রিভেনশনের প্রধান ড. মানামি ইনোউয়ে, ডিভিশন অব ইন্টারন্যাশনাল হেলথ পলিসি রিসার্চের প্রধান ড. তমোহিরো মাৎসুদা, সেকশন হেড (ডিভিশন অব প্রিভেনশন) ড. সারাহ কে আবে, ডিভিশন অব ইন্টারন্যাশনাল হেলথ পলিসি রিসার্চের স্টাফ সায়েন্টিস্ট ড. লরেলিন গ্যাটেলিয়ার, হামামাৎসু ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিন সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ড. শাফিউর রহমান, হিতোৎসুবাশি ইন্সটিটিউট ফর এডভান্সড স্টাডি’র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট ড. রাশেদুল ইসলাম ও ইউনিভার্সিটি অব টোকিওর পিএইচডি ফেলো ড. তাজবীর আহমেদ।