বাস ভাড়া নিয়ে শুরু হয়েছে নৈরাজ্যা। দাম বাড়ায় জ্বালানী তেলে চলা গাড়ি গুলোর ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হলেও বাড়তি ভাড়া আদায় করছে গ্যাসে চলা বাসও। রাতারাতি এসব সিএনজি চালিত বাস বনে গেছে তেলের বাসে। উদ্দেশ্য যাত্রীদের পকেট কাটা।
ডিজেলচালিত বাসের পাশাপাশি সিএনজিচালিত বাসগুলো ভাড়া বাড়িয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি। কিলোমিটার প্রতি ভাড়া ২ টাকার বেশি পড়ছে। কোথাও কোথাও আবার তা ছাড়িয়েছে ৪ টাকা। অথচ ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের অভ্যন্তরে চলাচলকারী বাস ও মিনিবাসের ভাড়া ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ এবং আন্তঃজেলা বাসের ভাড়া ২৭ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার।
রাজধানীতে ৯০ শতাংশ বাসই গ্যাসে চলে অথচ সব বাসেই নেয়া হচ্ছে বর্ধিত ভাড়া। কোন কোন বাসে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
করোনার সংকটের মধ্যে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানোয় বিপাকে পড়েছেন মধ্য ও নিন্ম আয়ের মানুষ। তাদের অভিযোগ, করোনার কারণে অনেকের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকে চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন। আন্যদিকে হুহু করে বাড়ছে নিত্য পণ্যের দাম। এ অবস্থায় জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে বাসভাড়াসহ সব কিছুর দাম বাড়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদেরকে।