আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

সেমি শেষে যেখানে রয়েছে কিউইদের ব্যাটার-বোলাররা

সেমি শেষে যেখানে রয়েছে কিউইদের ব্যাটার-বোলাররা

অন্তিম মুহূর্তে রয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। আগামীকাল ট্রান্স-তাসমান ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে এবারের আসরের। ফাইনালের ‍দুই দল অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। ম্যাচটিতে যারাই জিতবে তারাই হবে নতুন চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২বার) ও ইংল্যান্ড শিরোপা ঘরে তোলে। নিউজিল্যান্ড তাদের শেষ পাঁচ ম্যাচে জয় পেয়েছে। পক্ষান্তরে অজিরা শেষ পাঁচ ম্যাচের একটিতে হেরেছে।

এই ফাইনালটি কিউইদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বেশি। কেননা ২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠলেও অজিদের কাছে হেরেই শিরোপা হাতছাড়া হয়। তাই এ ম্যাচটি উইলিয়ামসনদের জন্য প্রতিশোধের ফাইনাল। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত আসরের বিশ্বকাপের ফাইনালটি অজিদের জন্য দ্বিতীয়বার হলেও প্রথমবার কিউইদের। অজিরা প্রথম ফাইনালে শিরোপা ঘরে তুলতে ব্যর্থ হয়। তাই এবার তারা চাইবে শিরোপা খরা ঘোচাতে। অন্যদিকে ব্ল্যাক ক্যাপসও চাইবে ষষ্ঠ দল হিসেবে শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে। 

ফাইনালের আগে দেখে নেবো নিউজিল্যান্ডের ব্যাটার ও বোলারদের চলতি আসরের পারফরম্যান্স।

নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং পারফরম্যান্স
মার্টিন গাপটিল
(৬ ম্যাচের প্রতিটিতেই ব্যাটিং করেছেন। ১৩১.৩৮ স্ট্রাইক রেটে ১৮০ রান করেছেন। যেখানে চার মেরেছেন ১৮টি ও ছয় মেরেছেন ৮টি। অর্ধশত রয়েছে একটি। সর্বোচ্চ ৯৩ রানের ইনিংস খেলেছেন।)

ড্যারেন মিচেল (৬ ম্যাচের প্রতিটিতেই ব্যাটিং করে ১৪০.৭১ স্ট্রাইক রেটে ১৯৭ রান সংগ্রহ করেছেন। যেখানে রয়েছে ১৫টি চার ও ৯টি ছয়ের মার। অর্ধশত রয়েছে একটি। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৭২ রান।)

কেন উইলিয়ামসন (৬ ম্যাচের প্রতিটিতেই ব্যাটিং করে ৯৪.২৪ স্ট্রাইক রেটে ১৩১ রান সংগ্রহ করেছেন। যেখানে রয়েছে ১০টি চার ও ২টি ছয়ের মার। শূন্য রানে একবার আউট হয়েছেন। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৪০ রান।)

ডেভন কনওয়ে (৬ ম্যাচের প্রতিটিতেই ব্যাটিং করে ১০৮.৪০ স্ট্রাইক রেটে ১২৯ রান সংগ্রহ করেছেন। যেখানে রয়েছে ১৩টি চার ও একটি ছয়ের মার। সর্বোচ্চ ৪৬ রান।)

জিমি নিশাম (৬ ম্যাচের ৪টিতে ব্যাটিং করে ১৭৩.৮০ স্ট্রাইক রেটে ৭৩ রান সংগ্রহ করেছেন। যেখানে রয়েছে ৩টি চার ও ৫টি ছয়ের মার। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৫ রান।)

গ্লেন ফিলিপস (৬ ম্যাচের ৪টিতে ব্যাটিং করে ১১২.৯৮ স্ট্রাইক রেটে ৮৭ রান সংগ্রহ করেছেন। যেখানে রয়েছে ২টি চার ও ৪টি ছয়ের মার। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৯ রান।)

মিচেল স্যান্টনার (৬ ম্যাচের ৩টিতে ব্যাটিং করে ১০০ স্ট্রাইক রেটে ৯ রান সংগ্রহ করেছেন। যেখানে রয়েছে একটি চার। সর্বোচ্চ ৬ রান।)

টিম সেইফার্ট (একটি ম্যাচে মাঠে নেমে ১০০ স্ট্রাইক রেটে ৮ রান সংগ্রহ করেছেন। যেখানে রয়েছে একটি চার। সর্বোচ্চ ৮ রান।)

ইশ সোধি (৬ ম্যাচের একটিতে ব্যাটিং করে ১০০ স্ট্রাইক রেটে ২ রান সংগ্রহ করেছেন। সর্বোচ্চ অপরাজিত ২ রান।)

নিউজিল্যান্ডের বোলিং পারফরম্যান্স
টিম সাউদি (৬ ম্যাচের ৬টিতে বোলিং করার সুযোগ পেয়েছেন। মোট ২৪ ওভার বল করে ১৩৮ রানের বিনিময়ে ৫.৭৫ ইকোনমিতে তুলে নিয়েছেন ৮ উইকেট।  সেরা বোলিং ফিগার ১৫ রানে ২ উইকেট।)

ট্রেন্ট বোল্ট (৬ ম্যাচের ৬টিতে বোলিং করার সুযোগ পেয়েছেন। মোট ২৩.৪ ওভার বল করে ১৫৫ রানের বিনিময়ে ৬.৫৪ ইকোনমিতে তুলে নিয়েছেন ১১ উইকেট।  সেরা বোলিং ফিগার ১৭ রানে ৩ উইকেট।)

জিমি নিশাম (৬ ম্যাচের ৪টিতে বোলিং করার সুযোগ পেয়েছেন। মোট ১০ ওভার বল করে ৬৬ রানের বিনিময়ে ৬.৬০ ইকোনমিতে তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ৬ রানে এক উইকেট।)

মিচেল স্যান্টনার (৬ ম্যাচের ৬টিতে বোলিং করার সুযোগ পেয়েছেন। মোট ১৯ ওভার বল করে ১২৬ রানের বিনিময়ে ৬.৬৩ ইকোনমিতে তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ২০ রানে এক উইকেট।)

অ্যাডাম মিলনে (৫ ম্যাচের ৫টিতে বোলিং করার সুযোগ পেয়েছেন। মোট ২০ ওভার বল করে ১৩৯ রানের বিনিময়ে ৬.৯৫ ইকোনমিতে তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ১৭ রানে এক উইকেট।)

ইশ সোধি (৬ ম্যাচের ৬টিতে বোলিং করার সুযোগ পেয়েছেন। মোট ২১ ওভার বল করে ১৫৪ রানের বিনিময়ে ৭.৩৩ ইকোনমিতে তুলে নিয়েছেন ৯ উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ১৭ রানে ২ উইকেট।)

ফাইনালের সম্ভাব্য একাদশ
মার্টিন গাপটিল, ড্যারেল মিচেল, কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), মার্ক চ্যাপমেন, গ্লেন ফিলিপস, জিমি নিশাম, মিচেল স্যান্টনার, টেন্ট্র বোল্ট, টিম সাউদি, ইশ সোধি ও টিম সেইফার্ট।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন সেমি | শেষে | যেখানে | রয়েছে | কিউইদের | ব্যাটারবোলাররা