একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের যে দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে বিএনপি তা অনুসরণ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ জানে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পবিত্র সংবিধানকে হত্যা করেই বিএনপির জন্ম হয়েছিল। বিএনপি কখনো নির্বাচন, সংবিধান ও প্রচলিত গণতান্ত্রিক রীতি-নীতিকে বিশ্বাস করে না। অতীতের ন্যায় তারা হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করতে চায়। বাংলাদেশের জনগণ ‘সাদেক আলী-আজিজ মার্কা’ নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা ভুলে যায়নি।
আজ মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) বিএনপি বিভ্রান্তিকর মন্তব্য ও অপপ্রচারের নীতি পরিহার করে গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি এবং সুস্থ রাজনীতির ধারায় ফিরে আসবে বলেও মনে করেন তিনি। গণমাদ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি প্রস্তুত করার জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। একইসঙ্গে সংলাপে আমন্ত্রিত রাজনৈতিক দলগুলোকে এই সংলাপে অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে একটি নিরপেক্ষ, শক্তিশালী ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠনে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংবিধানসম্মতভাবে একটি স্বাধীন ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠনে মহামান্য রাষ্ট্রপতির উদ্যোগকে সহায়তা প্রদান করতে বদ্ধপরিকর এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলসমূহের সংবিধান ও আইনসম্মত ভূমিকা প্রত্যাশা করি। রাষ্ট্রপতি এরই মধ্যে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে আইনসম্মতভাবে সার্চ কমিটি গঠনের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করেছেন। আমাদের পবিত্র সংবিধানের বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে এ লক্ষ্যে ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি রাষ্ট্রপতি ইতোপূর্বে ২০১২ এবং ২০১৭ সালে সংবিধানের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কর্তব্য পালন করেছেন এবং যথাযথভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে তিনি এবারও সব রাজনৈতিক দল এবং সংশ্লিষ্টদের মতামত গ্রহণের শুভ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রপতির এই মহতী উদ্যোগকে স্বাগত এবং সমর্থন জানায়।
এসআই/