চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ফারুক হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে তার লাইসেন্সকৃত পয়েন্ট টুটু বোরের রাইফেল ও ১৩৪ রাউন্ড গুলি।
আজ বুধবার( ২২ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল কবীর।
তিনি জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বড় শলুয়া গ্রামের মৃত শামসুল আলম ওরফে ফরজুন মাস্টারের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন (৫১)। তিনি ওই এলাকার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিএম কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। তার দ্বিতীয় স্ত্রী নাফিয়া ইয়াসমিন পার্শ্ববর্তী আরাফাত হোসেন সরণি বিদ্যাপীঠ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা।
মঙ্গলবার দুপুরে পারিবারিক কলহের কারণে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে প্রথমে বাড়িতে বসে ঝগড়া হয় ফারুকের। পরে দ্বিতীয় স্ত্রীর কর্মস্থলে গিয়ে একই বিষয় নিয়ে পুনরায় বাগবিতণ্ডা করেন তিনি। এক পর্যায়ে স্ত্রীর উপর রাগান্বিত হয়ে বাড়ি গিয়ে নিজের লাইসেন্সকৃত রাইফেল ও গুলি নিয়ে বিদ্যালয়ে যান ফারুক।
এ সময় তার স্ত্রী নাফিয়া ইয়াসমিনকে লক্ষ্য করে ২ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করেন তিনি। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে প্রাণে বাঁচার জন্য দৌড়ে বিদ্যালয়ের শৌচাগারে পালিয়ে যান নাফিজা ইয়াসমিন।
তিনি আরও জানান, রাতে বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। পরে আজ ভোরে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় তার লাইসেন্সকৃত টুটু বোর এর রাইফেল ও ১৩৪ রাউন্ড গুলি। তার বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে এলাকাবাসীর দাবি ফারুক হোসেন ৪ রাউন্ড গুলি করেছেন। গুলি বর্ষণের ঘটনায় বিদ্যালয়সহ এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
এ বিষয়ে ফারুক হোসেন বলেন, ‘খ্যাপা কুকুর মারার জন্য আমার লাইসেন্সকৃত রাইফেল থেকে ২ রাউন্ড গুলি ছুড়েছি। বাংলাদেশ সংবিধানে আছে খ্যাপা কুকুর মারা যাবে। আমি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে এলাকায় অনেক উন্নয়ন করেছি। প্রতিপক্ষরা বিষয়টি ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে।’