প্রেমের জোয়ারে ভেসে তো গিয়েছিলেন দিব্যি। কিন্তু সঙ্গী যে তাকে অকূল পাথারে ফেলেই ডুব দেবেন, তা বুঝে উঠতে পারেননি এই তরুণী। জাঁকজমক করে বিয়ে, বিয়ের বিপুল খরচ, সবকিছুই এক লহমায় অর্থহীন হয়ে গিয়েছে তার কাছে। কারণ বিয়ের পর দু’বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তাকে কিছু না জানিয়ে স্রেফ উধাও হয়ে গেছেন স্বামী। শুধু তাই নয়, তার সঙ্গেই উধাও বাড়ির পরিচারকেরা, যাদের নিযুক্ত করেছিলেন ওই যুবক নিজেই। কাণ্ডকারখানা দেখে হতবাক অস্ট্রেলিয়ার ওই তরুণী।
ইসাবেল গ্ল্যাস্টনবেরি নামের ওই তরুণী জানিয়েছেন, টেক্সাসের বাসিন্দা মাইকেলকে তিনি প্রথম দেখেছিলেন ডালাসে। সে বছর আটেক আগের কথা। ক্রমে জমে উঠেছিল প্রেম। অবশ্য তরুণীর মতে, তা ‘লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট’-ই ছিল। তাই একে অপরকে মনের কথা বলার পর আর বেশি দেরি করেননি তাঁরা। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তড়িঘড়ি সেরে ফেলেন বাগদান। এরপরে লিভ ইন করার জন্যেই আমেরিকা থেকে অস্ট্রেলিয়ায় চলে এসেছিলেন ইসাবেল। অস্ট্রেলিয়ার স্থায়ী ভাবে বসবাসের জন্য ভিসার আবেদন করেন মাইকেল। সে বছরই সিডনির বোটহাউস পাম বিচে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়েও সেরে ফেলেন তারা।
তরুণীর দাবি, এই বিয়ের যাবতীয় ব্যয়ভার সামলান তার মা-বাবাই। বিপুল আড়ম্বরের সেই বিয়েতে খরচ হয়েছিল অন্তত ৪২ লাখ টাকা, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। উপরন্তু অস্ট্রেলিয়ায় ভিসার আবেদন করার জন্যও ওই যুবককে ১০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন তারা, কিন্তু মাইকেলের স্পাউস ভিসার আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পরের দিনই উধাও হয়ে যান তিনি। ইসাবেলের দাবি, সেদিন বাড়িতে ফিরে তিনি দেখেন, বাড়ির সব আসবাব গায়েব হয়ে গিয়েছে। মনেই হয় না এখানে মাইকেল কোনও দিন ছিলেন। নেই কোনও পরিচাককও। ইসাবেলের সব ক্রেডিট কার্ডগুলি থেকেও সর্বোচ্চ ঋণ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু এইসব ঘটনা কেন হচ্ছে, তার কোনও সদুত্তর পাননি ইসাবেল। মাইকেলের সঙ্গে কোনোভাবেই যোগাযোগ করে ওঠা যায়নি। অস্ট্রেলিয়ার ভিসা পাওয়ার জন্যই তিনি বিয়ে করেছিলেন কি না, সে কথাও স্পষ্ট করে বোঝা যায়নি।
অবশ্য পরে একবার স্বামীর দেখা পেয়েছিলেন ইসাবেল। আবার ‘সিঙ্গল’ থাকার ইচ্ছে থেকেই নাকি উধাও হয়ে গিয়েছিলেন তিনি, এমনটাই দাবি করেন ওই যুবক। তাকে বাদ দিয়েই অবশ্য নিজের জীবনটা গুছিয়ে নিয়েছেন ইসাবেল। প্রেমের টানে আগুপিছু না ভেবেই সেদিন ভুল করেছিলেন বলে মনে করেন ওই তরুণী।
