মোসাদের (ইসরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা) সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদ নেতা নুরুল হক নুর কাতার, দুবাই ও ভারতে তিন দফা বৈঠক করেছেন। দাবি করেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোসাদের সঙ্গে নুরের বৈঠক নিয়ে এ দাবি করেন রাষ্ট্রদূত।
তিনি জানান, নুরের সঙ্গে কাতার, দুবাই ও ভারতে তিন দফা বৈঠক হয়েছে মোসাদের। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা থেকে আমরা বৈঠকের ছবি পেয়েছি। কাতার বিশ্বকাপের সময় (২০২২ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত) বিষয়টি আমাদের নজরে আসে।
রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান আরও বলেন, মোসাদের সঙ্গে তার (নুর) বৈঠকের বিষয়ে তিনি যদি অস্বীকার করে থাকেন, তা ফিলিস্তিনের জন্য ভালো। তবে বিষয়টি সত্য হলে এটি বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। ইসরায়েল থেকে টাকা নেয়া মানুষ কখনো নেতা হতে পারে না। এ ধরনের নেতা দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না।
অন্যদিকে, আজ (২২ জুন) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফেসবুক লাইভে নুর দাবি করেন ভারত, কাতার, দুবাইয়ে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে বৈঠকের খবরকে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত দাবি করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
এর প্রতিবাদ জানিয়ে নুর বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভিন্ন রাষ্ট্রদূতরা খুব ইন্টারেস্টিং ও এমন কথাবার্তা বলছেন যেটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে টালমাটাল অবস্থা করে দিচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত সরকারের কোনো এজেন্সির ডলার খেয়ে মিথ্যা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিলেন কিনা সেটা আমার সন্দেহ।
তিনি আরও বলেন, যেসব রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে থাকেন তারা জানেন, বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে কথা বললে কিছু সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। যে কারণে তারা অনেকেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে নাক গলাচ্ছেন। এটি আমাদের দেশের জন্য খুবই হুমকি স্বরূপ। মিথ্যা সংবাদ প্রকাশে গণমাধ্যমকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান ভিপি নুর।
তিনি বলেন, আমার বাস্তবে ভারতীয় ভিসা নেই। একটা মানুষের ভারতের ভিসা না থাকলে সে ভারত যাবে কিভাবে। আমি দীর্ঘদিন আদালতে যুদ্ধ করে পাসপোর্ট পেয়েছি।
নুর বলেন, মাত্র দুবার কাতার গিয়েছি একবার দুবাই, উমান, সৌদি গিয়েছি। দ্বিতীয়বার উমান থেকে বাংলাদেশে আসার পথে দুবাইয়ের ট্রানজিটে ছিলাম। ট্রানজিট বিমানবন্দরে হওয়ার কারণে সেখানে বৈঠকের ব্যবস্থা থাকে না, পরে সোজা বাংলাদেশে এসেছি। কাজেই এ অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন ও অসত্য। এ ধরণের কথা এ রাষ্ট্রদূত বলেছেন কিনা আমি জানি না।