বর্তমান তথ্য-প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যুগে মনের ভাব প্রকাশের একটি বড় মাধ্যম হলো ‘ইমোজি’। ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটস অ্যাপ, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন অ্যাপ ও চ্যাটের ক্ষেত্রে ইমোজির বিশাল অবদান রয়েছে। ইমোজির কারণে এখন আর কারও প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে সরাসরি বলতে হয় না, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’। শুধু একটি হার্ট বা লাভ ইমোজি পাঠিয়ে দিলেই ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করা সম্ভব।
তবে এ হার্ট ইমোজি ব্যবহারের উপর কঠোর নিয়ম জারি করেছে রয়েছে কুয়েত সরকার। এখন থেকে কুয়েতি কোনো মেয়েকে হার্ট ইমোজি পাঠালেই, বিষয়টিকে অশ্লীলতার জন্য উসকানি দেওয়ার দণ্ডনীয় অপরাধ বলে বিবেচনা করা হবে।
কুয়েতের আইনজীবী হায়া আল শালাহি জানান, এ অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের ২ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২ হাজার কুয়েতি দিনার জরিমানা হতে পারে।
একই ব্যবস্থা চালু রয়েছে প্রতিবেশী দেশ সৌদি আরবেও। সেখানে হোয়াটসঅ্যাপে ‘রেড হার্ট’ ইমোজি পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেলে জেল হতে পারে প্রেরকের। সৌদি আইন অনুসারে, যে কেউ এ কাজের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে ১ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা করা হতে পারে। পাশাপাশি দুই থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডও হতে পারে।
সৌদির জালিয়াতি বিরোধী অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আল মোয়াতাজ কুতুবি সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ক্ষুব্ধ বা বিরক্ত হওয়া ব্যক্তি যদি কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন, তাহলে অনলাইনে কথা বলার সময় নির্দিষ্ট ধরণের ছবি ও লাল হার্ট ইমোজি পাঠানোর বিষয়টি একটি হয়রানিমূলক অপরাধে হিসেবে গণ্য হবে।
সৌদি সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞের মতে, হোয়াটসঅ্যাপে রেড হার্ট পাঠানোকে দেশের এখতিয়ারের মধ্যে হয়রানি হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। বারবার আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে, সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের সঙ্গে ৩ লাখ সৌদি রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। সূত্র: গাল্ফ নিউজ
এএম/