লালমনিরহাটে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পর চালক আব্দুর রাশিদকে (৪৪) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত চার আসামিকে গাজীপুর কোনাবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে রংপুর র্যাব-১৩ এর অস্থায়ী সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১৩ এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর এইচ এম ওমর ফারুক। গেলো বুধবার রাতে র্যাব-১১ এর সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার খারুভাজ এলাকার সিরাজুল ইসলাম (১৬), শামসুল হক বাবু (৩২), মোস্তাফিজুর রহমান মুন্না (১৭) এবং মোমিনুল ইসলাম (৪৫)।
র্যাব-১৩ এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর এইচ এম ওমর ফারুক বলেন, গত (২০ আগস্ট) রাতে বুড়িবাজার থেকে আব্দুর রাশিদের অটোরিকশা ভাড়া করে বাবুর বাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয় সিরাজুল ইসলামসহ চার আসামি। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ডাকাতপাড়া ব্রিজের ওপর প্রস্রাব করার কথা বলে অটোরিকশাটি থামাতে বলে তারা। অটোরিকশাটি থামালে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে শামসুল ও মোস্তাফিজুর চালক রাশিদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করেন। এ সময় সিরাজুল পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাশিদের মাথায় সজোরে আঘাত করেন। এতে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন রাশিদ। পরে অর্ধমৃত অবস্থায় তাকে ব্রিজের ওপর থেকে পানিতে ফেলে দেন আসামিরা। রাশিদের কাছে থাকা টাকাসহ অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান তারা।
পরবর্তীতে হত্যাকারীরা লালমনিরহাটের মোস্তাফি বাজারে ভাঙারি দোকানে অটোরিকশাটি বিক্রি করতে গেলে দোকানদার বৈধ কাগজ চাওয়ায় তারা অটোরিকশাটি ফেলে পালিয়ে যান। গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় সিরাজুলের বাবা মমিনুলের বাসায় আত্মগোপন করেন তারা। পর দিন ২১ আগস্ট ডাকাতপাড়া ব্রিজের নিচে ভেটেশ্বর নদীতে আব্দুর রাশিদের মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে আদিতমারী থানায় মামলা করেন।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার আসামিরা আন্তঃজেলা অটোরিকশা ছিনতাই চক্রের সঙ্গে জড়িত। তারা সিরাজ গ্যাং নামে পরিচিত। তারা বিভিন্ন অটোরিকশা স্ট্যান্ডে অবস্থান করে যাত্রী বেশে অটোতে উঠে সুবিধাজনক স্থানে চালককে জিম্মি করে বা মারধর করে অটোরিকশা ছিনতাই করে সেটি বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগি করে নেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এএম/