নরসিংদীর রায়পুরার মেঘনা নদী থেকে মেহেদী হাসান (২২) নামে একটি শিক্ষার্থীর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার চরসুবুদ্দি ইউনিয়নের বল্লবপুর এলাকায় মেঘনা নদী থেকে ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠান মির্জারচর নৌ ফাঁড়ি পুলিশ।
নিহত মেহেদী হাসান (২২) নরসিংদীর স্কলাস্টিকা কলেজের শিক্ষার্থী। সে রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ গ্রামের হানিফ মাস্টারের বাড়ির মোশারফ হোসেন ছেলে। তার বাবা নারায়ণগঞ্জ জেলায় পুলিশের এএসআই হিসেবে কর্মরত। পরিবার পৌর এলাকার শ্রীরামপুর আব্দুর রহমানের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে পরিবারের সাথে বসবাস করতেন। এর আগে গেলো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার ভাড়া বাসা থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফিরেননি তিনি।
পুলিশ জানায়, স্থানীয়রা বল্লবপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে রায়পুরা থানা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে থানার উপপরিদর্শক রকিবুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল এসে লাশ নদীর তীরবর্তী এনে নৌ পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে নিহতের স্বজনরা লাশের পরিচয় সনাক্ত করেন। মির্জারচর নৌ পুলিশ ফাঁড়ি পুলিশ দুপুর সাড়ে ১২ টায় এসে লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠান।
এ বিষয়ে জানতে স্বজনের নাম্বারে বার বার যোগাযোগে চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়ে উঠেনি। শ্রীরামপুর ভাড়াবাসায় গিয়ে নিহতের স্বজনদের পাওয়া যায় নি।
রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক রকিবুল ইসলাম বলেন, মেঘনা নদীতে লাশ ভাসমান এমন সংবাদ পেয়ে নদীর তীরবর্তীতে অজ্ঞাত নামা লাশ নিয়ে এসে নৌ পুলিশকে খবর দেই। পরবর্তীতে নিহতের স্বজনরা লাশের পরিচয় সনাক্ত করেন।
মির্জারচর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবু নাঈম বলেন, সংবাদ পেয়ে দুপুর সাড়ে ১২ টায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।