বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে বাহরাইন শাখা জাতীয় শ্রমিক লীগের উদ্দ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ই মার্চ) এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। সংগঠনের সহসভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আবুল বাসারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রুবেল মাহমুদের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাহরাইন শাখার সাধারণ সম্পাদক এম এ হাসেম।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তার দীর্ঘ বক্তব্যে মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য এবং বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের জন্য সে ভাষণে যে বার্তা তা ব্যাখ্যা করে উপস্থাপন করেন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ১ মার্চ প্রেসিডেন্ট জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করেন। শাসকশ্রেণির স্বৈরতান্ত্রিক আচরণে বাংলাদেশের মানুষ আগেই বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল। ১ মার্চ থেকেই বাংলাদেশের মানুষ রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করছিল ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু কী ঘোষণা করবেন। বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে ঘিরে একদিকে পাকিস্তানের শাসকশ্রেণীর বন্দুকের নল তাকলাগানো, বিশ্ব থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা না দেয়ার চাপ, অন্য দিকে দেশের জনগণের কথা চিন্তা করা।
অনেকেই হয়তো সেদিন মনে করেছিলেন শেখ মুজিব স্বাধীনতা ঘোষণা করে বিচ্ছিন্নতাবাদীর খাতায় নাম লেখাবেন কিন্তু সেদিন বঙ্গবন্ধু সবাইকে চমকে দিয়ে লাখো জনতার মঞ্চে দাড়িয়ে ১৮ মিনিটের যে ভাষণ বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন তার প্রতিটি বাক্য, প্রতিটি শব্দে ছিলো স্বাধীনতার ডাক, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার ডাক, যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার অনুপ্রেরণা, অলিখিত স্বাধীনতা।
এই ভাষণ শুধু বাঙালি জাতিকে মুক্তিই দেয়নি বরং এটি ছিলো গোটা পৃথিবীর বঞ্চিত লাঞ্চিত নিপীড়িত মানুষের মুক্তির বার্তা।
তাইতো বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ইউনেস্কোর “ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার” এ অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে “বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য” এর স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
এস