অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের কারণে বন্ধের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ৯২তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হলসমূহ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিন্ডিকেট সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া ও গত ২৮ এপ্রিলের ঘটনা তদন্তে দুটি পৃথক কমিটি গঠন করা হবে। তবে দেশের ২৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে জিএসটি অ্যাডমিশন সিস্টেম বা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষাগুলো চলবে।
আবাসিক হল বন্ধ রাখার কারণ জানতে চাইলে এক সিন্ডিকেট সদস্য গণমাধ্যমকে জানান, ‘উপাচার্য দাবি করেছেন আবাসিক হলগুলোতে প্রচুর অস্ত্র ডুকতেছে। শিক্ষার্থীদের টাকা দেওয়া হচ্ছে। এতে এখানে অন্যরকম ঘটনা ঘটে যেতে পারে।’
তবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহফুজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শিক্ষকদের আন্দোলন দমানোর জন্য ভিসি ক্যাম্পাস বন্ধ করে দিল। আমরা এতদিন সংকটের কথা বলছিলাম, তিনি বলছিলেন কোন সংকট নেই। তাহলে সিন্ডিকেট সভায় সংকট আছে বলে কেন ক্যাম্পাস বন্ধ হলো?’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক আরও বলেন, ‘ভিসি মুখে শিক্ষার্থীদের কথা বললেও আসলে শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে না। আমরা মানববন্ধনে বলছি খুবই শীগ্রই ক্লাসে ফিরবো কিন্তু তিনি সিন্ডিকেটের ক্ষমতা বলে সবকিছু বন্ধ করে দিলেন। বর্তমানে প্রায় ডিপার্টমেন্টে সেমিস্টার ফাইনাল চলতেছে। ক্যাম্পাস বন্ধ হওয়ার কারণে সব পরীক্ষা স্থগিত হয়ে গেছে, এতে ক্ষতিগ্রস্ত হলো শিক্ষার্থীদের।’