আন্তর্জাতিক

গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হামাস

গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হামাস
অবরুদ্ধ গাজায় আবারও যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। সোমবার(৬ মে) রাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স,  মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে  এ তথ্য জানা গেছে। সোমবার এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি জানায়,  হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি এবং মিসরের গোয়েন্দাবিষয়ক মন্ত্রী আব্বাস কামেলের সঙ্গে এক ফোনালাপে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে হামাস সম্মত হলেও যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবগুলো নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা  করছে ইসরায়েল সরকার। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু’র কার্যালয় এবিষয়ে কিছু জানাতে অস্বীকার করেছে। আলোচনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন এর প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতারের রাজধানী দোহায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র পরিচালক উইলিয়াম বার্নসের সঙ্গে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানির মধ্যে দিনব্যাপী বৈঠকের পর মধ্যস্থতাকারীরা হামাসকে তিন ভাগের ওই চুক্তি মেনে নিতে রাজি করায়। তবে দ্বিতীয় দফায় এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি কতদিনের এবং গাজায় জিম্মিদের মুক্তির ব্যপারে ঠিক কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তা বিস্তারিত বলা হয়নি। ইসরায়েলি সরকারও হামাসের যুদ্ধবিরতির পর  তাদের অবস্থান কী তা জানায়নি। সম্প্রতি ইসরায়েল সরকার স্থায়ী যুদ্ধবিরতির চাইতে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির পক্ষে কথা বলেছিলো। যাতে করে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ২০ থেকে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিতে হামাস মুক্তি দিতে পারে এবং ফিলিস্তিনি বন্দীরা মু্ক্তি পায়। প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালিয়ে এক হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নাগরিককে হত্যা করার পাশাপাশি প্রায় তিনশো ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের যোদ্ধারা। এর প্রতিশোধ নিতে ও  হামাস নির্মূলে গাজায় বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযান ‍চালায় ইসরায়েল। তাদের এই অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে। সাত মাসের এই সংঘাতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে ৩৪ হাজার ৭৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে ৭৮ হাজার ১০৮ জন ফিলিস্তিনি। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। শুধু তাই নয় প্রাণঘাতী হামলার পর শুরু হওয়া সংঘাতে গাজায় প্রায় ৮০ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। এতে কয়েক শ' কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে। এমআর//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন গাজায় | ইসরায়েলের | বিরুদ্ধে | যুদ্ধবিরতি | প্রস্তাবে | রাজি | হামাস