মদের (বিয়ারের) ভাঙা বোতল দিয়ে স্বামীকে কুপিয়ে খুন করলো কিশোরী স্ত্রী। তাকে সঙ্গ দিলেন তার প্রেমিকের বন্ধুরা। ঘটনাস্থলে প্রেমিক ছিলেন না। খুনের পর স্বামীর লাশ দেখাতে প্রেমিককে ভিডিও কলও করল কিশোরী। তার পর দেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সে। পরে পুলিশ তাকে এবং অন্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে।
ভারতের মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুরের ঘটনা। নিহতের নাম গোল্ডেন পাণ্ডে ওরফে রাহুল। পুলিশ জানিয়েছে, চার মাস আগে ১৭ বছরের এক কিশোরীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু ওই কিশোরীর অন্য এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিল। বিয়ের পর তাই স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা করে সে। এই কাজে প্রেমিক এবং তার দুই বন্ধু কিশোরীকে সাহায্য করেছেন। তাদের মধ্যেও এক জন নাবালক। চার জনই আপাতত পুলিশের হেফাজতে।
কিছু দিন আগে স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিল কিশোরী। রেস্তরাঁয় খাবার খেয়ে স্ত্রীকে নিয়ে বাইকে ফিরছিলেন যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, ইনদওর-ইছাপুর জাতীয় সড়কের ধারে আইটিআই কলেজের কাছে বাইক থামায় কিশোরী। দুই যুবক এসে তার স্বামীকে আক্রমণ করেন। তার পর বিয়ারের ভাঙা বোতল দিয়ে স্বামীকে এলোপাথাড়ি কোপায় কিশোরী। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এর পর স্বামীর লাশ দেখাতে প্রেমিককে ভিডিও কল করেছিল কিশোরী।
রাহুল বা তার স্ত্রী বাড়ি না-ফেরায় তার পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। তদন্তে নেমে কিশোরী বধূকে নিয়ে পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে। কিছু দিনের মধ্যেই তাকে এবং বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বুরহানপুরের এসপি দেবেন্দ্র পতিদার জানিয়েছেন, জাতীয় সড়কের ধার থেকে যুবকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। তাঁর পরিবার দেহ শনাক্ত করেছে এবং তার ময়নাতদন্ত হয়েছে। তা থেকেই জানা গেছে, মোট ৩৬ বার যুবককে কোপানো হয়েছিল। ধৃতেরা পুলিশি জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী, খুন, খুনের ষড়যন্ত্র এবং প্রমাণ লোপাটের মামলা রুজু করা হয়েছে।
জেএইচ