চার দিনের সফরে আজ শনিবার (৬ আগস্ট) ঢাকায় আসছেন মার্কিন আন্তর্জাতিক সংস্থা বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশেল জে সিসন। নয়াদিল্লি হয়ে ঢাকায় পৌঁছাবেন তিনি। বাইডেন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিনিধির সফরে ঢাকা-ওয়াশিংটনের দ্বিপাক্ষিক ইস্যু ছাড়াও বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক ইস্যু গুরুত্ব পাবে।
কূটনৈতিক চ্যানেলগুলো সূত্র থেকে জানা গেছে, ওয়াশিংটন চায় না মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর গণমাধ্যমে প্রচার হোক। তাই সিসনের সফরটি নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করতে চাইছে না পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, বাইডেন প্রশাসনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরে ওয়াশিংটনের বহুপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পাশাপাশি বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে ইউক্রেন পরিস্থিতি, তাইওয়ান ইস্যু, খাদ্য নিরাপত্তা ইস্যুটি আলোচনায় আসবে। এছাড়াও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, মানবাধিকার ও রোহিঙ্গা ইস্যু থাকবে আলোচনার টেবিলে।
যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে যুক্তরাষ্ট ও চীনের মধ্যকার উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই সিসন ছাড়াও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ঢাকায় পা রাখবেন। একইসঙ্গে অনেকটা হঠাৎ করে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর নিয়ে রয়েছে নানা আলোচনা।
জানা যায়, বাইডেন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিনিধি সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও সরকারের আরও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও বড় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। এছাড়াও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক হতে পারে সিসনের।
মূলত, ভারত, বাংলাদেশ ও কুয়েত সফরের অংশ হিসেবে ঢাকায় আসছেন সিসন। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) বাইডেন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিনিধির ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।
এসি