ঢাকা-বরগুনা রুটে চলছে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট । বরগুনা-বাকেরগঞ্জ সড়কে ঢাকা-বরগুনা রুটের বাস চলাচলের দাবিতে এ ধর্মঘট ডেকেছে দূরপাল্লা যাত্রী পরিবহন পরিচালনা কমিটি।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক রোকনুজ্জামান রোকন।
তিনি জানান, বরিশাল রুপাতলি বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি দূরপাল্লার পরিবহন থেকে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করে আসছে। বার বার চাঁদা পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে তারা এটা দিতে অস্বীকার করেন। ফলে শ্রমিকদের ওপর নানা অত্যাচার-জুলুম শুরু করে। তারা বাকেরগঞ্জ-বরগুনার সড়কে দুমাস ধরে গাড়ি চলাচলে বাধা দিচ্ছেন। তাদের জুলুম-নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতেই অনির্দিষ্টকালের জন্যে এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
স্থানীয় ও বাসচালকরা জানান, বরগুনা-বাকেরগঞ্জ সড়কে দীর্ঘদিন ধরে দূরপাল্লার পরিবহন চলছে। তবে গত আগস্ট থেকে এ সড়ক দিয়ে দূরপাল্লার বাস চলাচলে বাধা দিচ্ছে বরিশাল রূপাতলি বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি। এতে গত দুমাস ধরে সড়ক দিয়ে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে বরগুনার যাত্রী পরিবহনের জন্য দূরপাল্লার বাসগুলোকে লেবুখালী, পটুয়াখালী ও আমতলি ঘুরে পায়রা ফেরি পার হয়ে বরগুনায় আসতে হচ্ছে। এতে তাদের অতিরিক্ত সময় ও অর্থ ব্যয় হচ্ছে। রূপাতলি বাস মালিক সমিতির অত্যাচার ও স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধের দাবিতে বরগুনা চলাচল করা সব দূরপাল্লার বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে। আর এতে ভোগান্তিতে পড়েছে বরগুনা থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও যশোরে যাতায়াত করা যাত্রীরা।
এ বিষয়ে শ্যামলী পরিবহনের বরগুনা কাউন্টার ইনচার্জ শ্রী পিলু ঘোষ গণমাধ্যমকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা বরগুনা-বাকেরগঞ্জ হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গাড়ি চালাচ্ছেন। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পরেই বরিশাল রুপাতলি বাস মালিক সমিতি তাদের এ রুটে বাস চালাতে দিচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে আমতলি ঘুরে ফেরি পারাপারের মাধ্যমে যেতে হয়। এতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় বেশি লাগে ও অতিরিক্ত অর্থ খরচ হয়।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ ঘোষণার বিষয়টা তিনি জেনেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করে সমাধান করা হবে।