রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রিয়্যাক্টর কম্পার্টমেন্টে রিফুয়েলিং মেশিনের প্রথম ইউনিটের পরীক্ষামূলক রিফুয়েলিং মেশিন প্রস্তুতির কাজ শেষ হয়েছে। রিয়্যাক্টর কোরে ডামি ফুয়েল লোডিংয়ের জন্য এটি সবশেষ ধাপ। কয়েকদিনের মধ্যেই ডামি ফুয়েল লোডিংয়ের পরিকল্পনা রয়েছে।
মঙ্গলবার ( ৩০ জুলাই ) নির্মাণ সহযোগী প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার রোসাটোম স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি কর্পোরেশন এ তথ্য জানিয়েছে।
রোসাটম জানায়, রিয়্যাক্টর কোরে ফ্রেশ পারমাণবিক জ্বালানি লোড ও কোর থেকে ব্যবহৃত জ্বালানি বের করে আনার জন্য নিউক্লিয়ার রিফুয়েলিং মেশিন ব্যবহৃত হয়। ফুয়েল পুল ও রিয়্যাক্টর পিটের উপরে অবস্থিত ৬০ টন ওজনের মেশিনটিতে যান্ত্রিক অংশে রয়েছে ব্রিজ, ট্রলি ও সার্ভিস এরিয়া।
এছাড়াও দূরবর্তী স্থান থেকে পারমাণবিক জ্বালানির ফুয়েলিং/রিফুয়েলিং, ইন্সটলেশন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিং করার জন্য এই মেশিনে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে একটি কন্ট্রোল ও একটি মনিটরিং সিস্টেম।
এটমটেকএনার্গো বাংলাদেশ শাখার পরিচালক ডেনিস মাজলভ বলেন, ‘রিফুয়েলিং মেশিনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারন এই মেশিনের মাধ্যমে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিরাপদে পরিচালনা করা হয়। অত্যন্ত নিখুঁত ভাবে ফুয়েল এসেম্বলি নিয়ে কাজ করা জরুরি। কোনো ক্রমেই দুই মিলিমিটারের বেশি হওয়া যাবে না বিশেষ স্থানে অনুমোদিত ত্রুটি।
ফুয়েল লোডিংয়ের জন্য রিফুয়েলিং মেশিনটিকে প্রস্তুত করতে কাজ করেছে এটমটেকএনার্গো’র বিশেষজ্ঞরা। রোসাটমের ইলেকট্রিক পাওয়ার ডিভিশনের অংশ এই প্রতিষ্ঠানটি এনপিপি কমিশনিং, বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ স্থাপনা তৈরিতে বিশেষভাবে পারদর্শী।
বাংলাদেশের রূপপুরেও রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় দুই ইউনিট বিশিষ্ট একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের শেষের পর্যায়ে রয়েছে। ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর ভিত্তিক প্রতিটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। রোসাটম ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশন প্রকল্পের জেনারেল কনট্রাকটর এবং ডিজাইনার হিসেবে কাজ করছে।
জেডএস/