বাজারে আগের মতোই উচ্চ মূল্যে আলু, ডিম এমন দৈনন্দিন খাদ্যসামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে গরু-খাসি-মুরগির বাজার স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। শীতের সবজি উঠতে থাকায় সবজি বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার বিশ্লেষণ করে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা দরে। গত দুই সপ্তাহ থেকে এই দামেই ডিম বিক্রি হচ্ছে। এর আগে ১৮০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল ডিমের ডজন।
বাজারে এখনো পুরোনো আলু ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হিমাগার পর্যায়ে আলুর দাম বেশি হওয়ায় খুচরা বাজারেও বেশি বলে জানাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। প্রতিবছর মৌসুমের শেষদিকে আলুর দাম বাড়তি থাকে বলে আড়তদাররা বলছেন। নতুন আলু বাজারে পুরোদমে ওঠা শুরু করলে দাম কমবে বলে আশা করছেন তারা।
পেঁয়াজের কালি ওঠায় দাম কিছুটা কমার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বাজারে এখন পেঁয়াজের কালি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে করে কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে দাম।
বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১৪০ টাকায়, আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়।
এদিকে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে বলে জানা যায়। গত সপ্তাহে যেখানে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছিল, এই সপ্তাহে ১৭৫ থেকে ১৮৫ টাকা পর্যন্ত দাম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সোনালি মুরগির কেজি ২৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা ও কক মুরগি ৩০০ টাকা কেজি। দেশি মুরগির কেজি ৬৫০ টাকা থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি গরুর মাংস বাজার ভেদে ৭৫০ টাকা থেকে ৭৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের ক্ষেত্রে তা ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এম এইচ//