বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত অভ্যুত্থানে পতন হওয়া সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রী ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনকে আটকের পর তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারিক রাজিব কুমার রায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে, শুক্রবার (১৬ আগস্ট) পৌর শহরের রিপন ওরফে বাবু বাদী হয়ে রমেশ চন্দ্র সেনসহ ৪০ জনের নামে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ছাত্র আন্দোলন দমনে হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের মারপিটসহ গুরুতর রক্তাক্ত জখম করাসহ ১৪৩/১৪৯/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৫০৬(২)/১১৪সহ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ০৩ ধারা মোতাবেক সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ঠাকুরগাঁও ১ আসনের সাবেক এমপি রমেশ চন্দ্র সেনকে পুলিশ হেডকোয়ার্টাস ঢাকার একটি বিশেষ টিম গ্রেপ্তারপূর্বক ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসে।
পরেরদিন শনিবার তাকে সদর থানা থেকে নিয়ে এসে কোর্টে তুলে ঠাকুরগাঁও কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত অভ্যুত্থানে গেলো ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে চলে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা গা ঢাকা দেন। এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলাও হয়েছে ইতোমধ্যে।
উল্লেখ্য, সাবেক খাদ্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যসহ সবশেষ কেন্দ্রীয় নির্বাচনি বোর্ডের সদস্য ছিলেন। তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নির্বাচনি এলাকা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
সন্তানহীন রমেশ চন্দ্র সেনের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য করে শত শত কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ লোকমুখে আলোচিত। তার আটকের খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তার আটকের ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
কেএস//