কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তার মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলো টিকবে না বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন।
শনিবার(২৪ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) কার্যালয়ে আয়োজিত এক নাগরিক সংলাপে তিনি একথা বলেন। ‘সিভিল রিফর্ম গ্রুপ-বাংলাদেশ ২.০’ এই নাগরিক সংলাপের আয়োজন করে।
আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী সারা হোসেন বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে নানা ধরনের মামলা দেখা যাচ্ছে। কোনোটিতে ৩০, ৪০ ও ৫০ জনের বেশি করে আসামি। অনেকের রাগ ও ক্ষোভ থাকতে পারে, কিন্তু এ ধরনের মামলা লিখলে কাজ হবে না, টিকবে না। প্রথম ধাপই পার হতে পারবে না। মামলাগুলো আন্দোলন ও আন্দোলনের ফসলকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটা বন্ধ করতে হবে।‘
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অবৈতনিক নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন আরও বলেন, ‘এই মামলা কি পুলিশ করছে? সৎভাবে করছে? বুঝে করছে?’ মামলার এজাহার ক্ষোভ ঝাড়ার জায়গা নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রিমান্ডের বক্তব্য প্রকাশের সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী বলেন, ‘১৫ বছর ধরে রিমান্ডে কী কথা হয়েছে, তা সূত্র দিয়ে গণমাধ্যমে আসছে। রিমান্ডে কী বলা হয়েছে বা না হয়েছে, তা কিন্তু কেউ জানে না। কিন্তু গণমাধ্যমে তা প্রকাশ হচ্ছে। এটার জন্য কাউকে জবাবদিহি করা হয়নি। ’
রিমান্ডের বক্তব্য এভাবে প্রকাশ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আইনকে নিজের মতো চলতে দিন। অনেক ক্ষোভ, রাগ আছে। আপনারা এটা ফেস (মুখোমুখি হওয়া) করেছেন বলে অন্য কাউকে এটার মধ্য দিয়ে নেবেন না।’
নাগরিক সংলাপে অন্যদের মধ্যে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জাহেদ উর রহমান, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, সাংবাদিক আশরাফ কায়সার, রাজনীতিবিদ জুনায়েদ সাকি, সাইবার বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির, ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব, সাংবাদিক গোলাম মুর্তজা উপস্থিত ছিলেন।
এমআর//