রাজনীতি

বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় দিতে চায়: মির্জা ফখরুল

বায়ান্ন প্রতিবেদন

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হলো নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবে। তা না হলে কিন্তু সেটা হবে না। মনে রাখতে হবে গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া পরিবর্তন হয় না। এই সরকারকে আমরা যৌক্তিক সময় দিতে চাই। বললেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত সংলাপে বসা উচিত।

তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু জায়গায় দুর্বৃত্তরা অপকর্ম করে বিএনপির ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। আমি স্পষ্ট করে বলছি যে, আমরা কোনো দুর্বৃত্তপনা বা অপরাধ বরদাশত করা হবে না। যারাই এসব করছে তাদের বিরুদ্ধে দল থেকে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ঢালাওভাবে মামলা যাতে না হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলবো- আপনারা প্রাথমিকভাবে তদন্ত করুন। এ বিষয়ে দলের নেতাকর্মীদেরও আহ্বান জানাবো যে এমন কোনো মামলা করবেন না যাতে সারবস্তু থাকবে না। আমরা একটা ক্রান্তিকাল পার করছি। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করে একটি স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। কারণ অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হলো নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবে। তা না হলে কিন্তু সেটা হবে না। মনে রাখতে হবে গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া পরিবর্তন হয় না। এই সরকারকে আমরা যৌক্তিক সময় দিতে চাই।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আজকে ছাত্র-জনতার বিপ্লব নস্যাতের চক্রান্ত হচ্ছে। ভারত থেকে কিছু জিনিস অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যাতে সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে ফের পরিকল্পিতভাবে চক্রান্ত হচ্ছে। অথচ গত ১৫ বছরে বিএনপির প্রত্যেকটি নেতাকর্মী নির্যাতন নিপীড়নের শিকার। মিথ্যা মামলায় জর্জরিত। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারান্তরীণ করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশান্তরিত করা হয়েছে। এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়নি।

জামায়াত-শিবিরের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নই। যারাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের পক্ষে তারা রাজনীতি করবে এটা তাদের অধিকার।


কেএস//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বিএনপি