আমরা অনেককেই দেখেছি অনেক সময় আতাঁত করতে। আমরা সেই আতাঁতকারী দল নই। ১৬ বছর আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলেও সেই দেয়ালকে আমরা পেছনে ফেলে আবার সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার দল। সুতরাং এই সামগ্রিক একটি বিজয়ের মাঝে আপনারা যে বিভেদ বিভাজনের চেষ্টা করছেন এটা কারও জন্যই মঙ্গলজনক হবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর ভাসানী মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, এমন একটি শাসক এতদিন রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে রেখেছিল যে কোনো ভদ্রতা জানে না, যারা কোনো শিষ্টাচার জানে না। যে ফ্যাসিবাদ সরকার নিজের মতো করে গণতন্ত্রের ব্যাখ্যা দিয়েছে, কাটছাঁট করে সংবিধান বানিয়েছে শুধু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কবজার মধ্যে নিয়ে।
এ বিএনপি নেতা দাবি করেন, তিনি এমনও শুনেছেন যখন শেখ হাসিনা পালাচ্ছিলেন তখনও নাকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিচ্ছিলেন গুলি চালিয়ে রাস্তাঘাট পরিষ্কার করতে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের স্বপক্ষে আরও অনেকেই লড়াই করেছেন কিন্তু বিএনপি ২০০৯ সাল থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত এ আন্দোলন করে গেছে। আজকে সবার আন্দোলনের অবদানে এই অন্তর্বর্তী সরকার।
বিএনপির এ সিনিয়ত যুগ্ম মহাসচিব বলেন, হাসিনা যখন বলেছিল এরশাদের অধীনে যারা নির্বাচনে যাবে তারা জাতীয় বেইমান। অথচ তিনি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আবার সেই এরশাদের অধীনে নির্বাচনে চলে গেলেন। তখন তার সঙ্গে কিন্তু আরো কিছু রাজনৈতিক দল গিয়েছিলো। শুধু শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ একাই যাইনি আরো অনেক দল গিয়েছিল কিন্তু বেগম জিয়া যাননি।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীন থাকা আজকে সেটা কি প্রমাণিত হয়নি। আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে অন্তত বিএনপি অংশগ্রহণ করলে একটা ফ্রেস সেভিং হতো।
সুতরাং তারেক রহমানের সঠিক সিদ্ধান্তের ফলশ্রুতি ৫ আগস্টে গণতন্ত্রের বিজয়।
আই/এ