বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী ইমাম হাসান হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন আদমজী নগর এম. ডব্লিউ কলেজের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন চলাকালে গেলো ২০ জুলাই পুলিশের গুলিতে এ শিক্ষার্থী নিহত হন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক এলাকায় মহাসড়কের সর্বমুখী লেন বন্ধ করে শিক্ষার্থীরা এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, এ হত্যাকাণ্ডের দেড় মাস পরও কোন হত্যাকারী পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার না করায় বিচারের দাবিতে তারা মহাসড়ক অবরোধ করেছে। যাত্রাবাড়ি থানার কার্যক্রম ডেমরা থানায় স্থানান্তরিত হওয়ায় অবরোধের আগে তারা ডেমরা থানায়ও গিয়েছিলো। সেখান থেকে তাদের ডিসি অফিসে পাঠানো হয়।
ডিসিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিলেও ২ দিন পার হয়ে গেছে। তাই তাদেরকে চাপ প্রয়োগ করতে তারা আজ সড়ক অবরোধ করেছে। তাদের দাবি যদি মানা না হয় তাহলে এখানেই অবস্থান করবেন বলেও জানান শিক্ষার্থীরা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আন্দোলন চলাকালে গেলো ২০ জুলাই কারফিউ জারি করে সরকার। ওইদিন দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল। ওই সময় তাইম তার দুই বন্ধুর সঙ্গে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় চা পান করতে যায়। তখন কোটা আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করছিল।
এর প্রেক্ষিতে পুলিশ সদস্য ইকবাল হোসেন, শামীম ও তানজিল আহমেদের নির্দেশে জাকির হোসেন ও তার সঙ্গীরা বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও গুলি চালায়। প্রাণভয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা ছোটাছুটি করতে থাকে। তাইম ও তার দুই বন্ধু লিটন চা দোকানের ভেতর ঢুকে সাটার নামিয়ে দেয়। কিন্তু সাটার আধা হাত খোলা ছিল। সেখান থেকে পুলিশ তাদের টেনে বের করে আনে। তখন তাইম সবার আগে দৌড় দেয়। পুলিশ সদস্য জাকির তাইমকে লক্ষ্য করে গুলি করে। তাইম ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
প্রসঙ্গত, পুলিশের গুলিতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের উপ-পরিদর্শক মো. ময়নাল হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে ইমাম হাসান তাইমকে হত্যার অভিযোগে ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
আই/এ