আমরা একটা সরকার বদলানোর আন্দোলন করছি না, নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছি না। সামগ্রিকভাবে আন্দোলন করছি যাতে নির্বাচন ব্যবস্থা ও সংবিধান সংস্কারের প্রক্রিয়া একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র করা যায়। আবার যাতে ফ্যাসিবাদ ফিরে না আসে। সে কারণে সংস্কার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না।
শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপ শেষে যমুনার সামনে এ কথা বলেন তিনি।
মান্না বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এনগেজমেন্ট আরও বেশি এবং নিয়মিত করার কথা তারা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছেন। দরকার হলে তাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকের একটা কাঠামো তৈরি করা যেতে পারে। এটা সাপ্তাহিক, পাক্ষিক হতে পারে। এ প্রস্তাবে ওনারাও একমত হয়েছেন।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চ শুরু থেকেই সংস্কারের কথা বলে এসেছে। সংস্কারের জন্য প্রয়োজনে সব ধরনের সহযোগিতা তারা করবেন। তারা প্রশাসনের কিছু দুর্বলতা দেখেছেন, ব্যর্থতা দেখেছেন, সীমাবদ্ধতা দেখছেন। সিভিল পুলিশসহ প্রশাসনে এমন কিছু দেখেছেন যা উদ্বেগ প্রকাশ করার মতো।
তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টাসহ উপদেষ্টা পরিষদের সম্মান সফল নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে। মানুষের যদি মনে হয় এ সরকারের লিপ্সা আছে, যদি মনে হয় অতীতের মতো ন্যায়-অন্যায় বাছবেন না, অর্থের ধান্দা করবেন, দুর্নীতি বেড়ে যায় তা এ সরকারের ওপর বর্তাবে। যেহেতু রাজনীতিবিদরা সমাজের একেবারে নিম্নস্তর পর্যন্ত কাজ করেন। তাই ধরণের বিষয় এড়াতে অন্তর্বর্তী সরকারকে রাজনীতিবিদদের সাথে কথা বলারও পরামর্শ দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এর আগে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপ করে গণতন্ত্র মঞ্চের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল। তাদের নেতৃত্ব দেন মঞ্চের সমন্বয়ক নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। প্রতিনিধি দলের আরও ছিলেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা আকবর খান, আবুল হাসান রুবেল, আবু ইউসুফ সেলিম, ইমরান ইমন।
আই/এ
