আন্তর্জাতিক

ভারতে অবস্থানরত হাসিনা প্রসঙ্গে যা বললেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সম্প্রতি গুঞ্জন উঠেছে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্যের কোনো এক দেশে চলে যাচ্ছেন। তবে এ জাতীয় সব খবর বা গুঞ্জনকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ভারতের শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা।

এ অবস্থায় মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রেস ব্রিফিংয়েও উঠে এসেছে শেখ হাসিনা প্রসঙ্গ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের কাছে এক সাংবাদিক শেখ হাসিনার বিষয়ে জানতে চান।

সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, গণহত্যা ও নৃশংসতা ঘটিয়ে স্বৈরশাসক হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন অধ্যাপক ইউনূসের সাথে একটি ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন এবং প্রেসিডেন্ট বাইডেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে ড. ইউনূসের সাথে দেখা করেছেন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র, নিরাপত্তা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীর মতো চ্যালেঞ্জগুলোকে সামনে রেখে বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কীভাবে এগিয়ে নিতে চাচ্ছে সে বিষয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ জানাবেন কী?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা এই সমস্ত ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী (অ্যান্টনি ব্লিংকেন) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার সাথে একটি ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন এবং এই সমস্ত বিষয়ে অগ্রগতি অব্যাহত রাখার জন্য আমরা উন্মুখ।

পরে এই সাংবাদিক ভারতে বসে শেখ হাসিনার বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রসঙ্গে জানতে চান। তিনি বলেন, গেলো সপ্তাহে (স্টেট ডিপার্টমেন্টের) এই ভবনে এসেছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর। বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরাচার শেখ হাসিনা এখন ভারতে এবং সেখানে থেকেই বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছেন বলে অভিযোগ উঠেছে— ব্লিংকেনের সঙ্গে জয়শঙ্করের বৈঠকে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ নিয়ে কোনেও আলোচনা হয়েছে কিনা?

জবাবে মিলার বলেন, আমি আপনাকে বলতে পারি যে ভারত সরকারের সাথে আমাদের বৈঠকে বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক বিষয়গুলো প্রায়শই উঠে আসে। তবে আমার কাছে দেয়ার মতো কোনো নির্দিষ্ট বক্তব্য নেই।

 

 

এসি//

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন শেখ হাসনিা | ম্যাথিউ মিলার