লক্ষ্মীপুরে একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে বাসে গ্যাস ভরার সময় বিস্ফোরণে চারজন নিহত হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রোববার (১৩ অক্টোবর) রাতে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রীনলিফ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
সদর থানার ওসি আব্দুল মনাফ বলেন, ‘মাইশা ইকরা ক্ল্যাসিক’ নামের বাসটি ‘ক্ল্যাসিক মেঘনা’ ব্যানারে চলছিল। যানটিতে গ্যাস ভরার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ হলে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। পরে আরেকজন মারা যান।
নিহতরা হলেন- হৃদয় (১৯), ইউসুফ (৩২) ও সুজন (২৫)। বাকি একজনের পরিচয় জানা যায়নি।
হৃদয় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাজিবপুর গ্রামের সিরাজের ছেলে। তিনি পেশায় মোটর মেকানিক। ইউসুফ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য বাঞ্চানগর গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে, আর সুজন সদর উপজেলার চরমনসা গ্রামের বটু মিয়ার ছেলে।
আহতরা হলেন—সুমন হোসেন, মো. রকি, মোহাম্মদ ফাহাদ হোসেন, সিরাজ মিয়া, মো. হৃদয়, শান্ত খান ও আবদুল মালেকসহ ২০ জন। এদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থায় আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দুর্ঘটনার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নুল আবেদিন গণমাধ্যমকে বলেন, ফিলিং স্টেশনে বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১০ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের এই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হতাহতের বীভৎসতা বর্ণনা করে এই চিকিৎসক বলেন, দুর্ঘটনাটি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, অনেকের হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অনেকে মারাত্মক জখম হয়েছেন।
তিনি বলেন, আহতদের লক্ষ্মীপুর ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, লক্ষ্মীপুর-রামগতিগামী মেঘনা পরিবহনের একটি বাস গ্যাস নিতে আসে গ্রিন লাইফ ফিলিং স্টেশনে। বাসে গ্যাস দেয়ার সময় হঠাৎ সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে স্টেশনে থাকা লোকজন ছোটাছুটি শুরু করে। এ সময় ঘটনাস্থলেই মারা যান অটোরিকশার তিন চালক।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রঞ্জিত কুমার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। তিনজনই ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। বাসের সিলিন্ডারটি নিম্নমানের ছিল। এতে গ্যাস নেয়ার সময় বিস্ফোরণ হয়।
এসি//