লোকে রদ্রিকে তেমন চেনে না, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তিনি নেই। নিজের কাজ আর খেলা উপভোগ করে যান, ভালো মানুষ হতে চান। ব্যালন ডি’অর জয়ী এই মিডফিল্ডার মঞ্চে দাঁড়িয়ে এসব কথাই বলছিলেন।
একজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ব্যালন ডি’অরের পুরস্কার জিততে পারে, এমন চিত্র ভুলেই বসেছেন দর্শকরা। সবশেষ ২০০৬ সালে ইতালির ফাবিও ক্যানাভারো ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে ব্যালন জেতেন। মাঝে ১৮ বছর কেটে গেছে, অবশেষে রদ্রির হাতে এসেছে পূর্ণতা।
স্পেনকে ইউরো শিরোপা জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন রদ্রি, একইসাথে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারের খেতাবটাও নিজের করে নেন। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে লিগ শিরোপা জেতাতে রদ্রির পারফরম্যান্সে বুঁদ হয়ে ছিলেন সিটি সমর্থকরা। এই সমর্থকরা জানেন পরিসংখ্যান রদ্রিকে ঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারবে না, তাকে চিনতে হলে মাঠের খেলা দেখতে হবে।
ব্রাজিল ও রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে নিয়ে আলোচনা ছিল সবচেয়ে বেশি। মাদ্রিদের হয়ে লা লিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন- ঝুলিতে গোল আর অ্যাসিস্ট আছে- সবমিলিয়ে যোগ্যতায় কোনো অংশেই কম না।
পুরুষদের ব্যালন ডি’অর জয়ী নির্বাচন করতে ফিফা র্যাংকিংয়ের শীর্ষ ১০০ দেশের সাংবাদিকরা ভোট দিয়ে থাকেন। প্যারিসের থিয়েটার দু শাতলে’তে অনুষ্ঠান শুরুর আগে অনেকরকম নাটকীয়তা তৈরি হলো। শেষ পর্যন্ত শোনা যায় রিয়াল মাদ্রিদ থেকে প্যারিসে কেউ যাচ্ছেন না, অর্থাৎ ভিনিসিয়াসের ঝুলিতে উঠছে না এবারের ব্যালন ডি’অর।
সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে এরমধ্যে হতাশা প্রকাশ করেছেন ভিনি। তার আরও ১০ গুণ ভালো পারফরম্যান্স করা দরকার মনে করছেন তিনি। ব্যালন ডি’অর কর্তৃপক্ষ তাকে এখনো পুরস্কারটি দিতে প্রস্তুত নয় মনে হয়েছে এই ব্রাজিল তারকার।
অন্যদিকে চোটে পড়ে পুরো মৌসুমের জন্য ছিটকে যাওয়া রদ্রি ক্রাচে ভর দিয়ে আনন্দ চিত্তে মঞ্চে উঠলেন। জর্জ উইয়াহর কাছ থেকে ট্রফি নিয়ে উপস্থিত দর্শকদের করতালিতে মুখর হচ্ছিলেন, আর তখন উপস্থাপক দিদিয়ের দ্রগবা ‘পুরস্কার’ এর দিকে ইঙ্গিত করে বললেন; তুমি আবারও এটা দেখাও, এটা তো তোমার, তুমি আনন্দ করো!
রদ্রির জন্য বড় আনন্দের দিন আজ!
এম এইচ//