গাছ কাটা ও ফসল তোলাকে কেন্দ্র করে চাপাইনবাবগঞ্জের কিরণগঞ্জ সীমান্তে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের নাগরিকরা। এসময় হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটলে ও ইটপাটকেলে দুই বাংলাদেশি আহত হন। ঘটনার পরে স্থানীয়দের নিয়ে কঠোর অবস্থান নেয় বিজিবি। পরে পতাকা বৈঠকে এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বিএসএফ।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে বিজিবি ও বিএসএফ এর মধ্যে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিষয়টি নিয়ে বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করে বলে জানিয়েছেন ৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া।
বিজিবি জানায়, সকালে কিরণগঞ্জ সীমান্তের ভারতীয় অংশে জমি থেকে গম কেটে নেয়ার অভিযোগ করে দেশটির বাসিন্দারা। এ সময় ভারতের সীমান্তরক্ষীরা কয়েকজন বাংলাদেশিকে আটক করতে গেলে বাধা দেয় গ্রামবাসী।
এ বিষয়ে গ্রামবাসিরা জানান, ভারতীয়রা বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে শতাধিক বড়ই ও আম গাছ কেটে নেয়। পরে এ স্থানীয়রা বাঁধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ভারতীয়রা হাতবোমা নিক্ষেপ ও বিএসএফ টিয়ারশেল ছোড়ে বলেও তারা অভিযোগ করেন।
পরে বিজিবি কঠোর অবস্থান নিলে পিছু হটে বিএসএফ ও ভারতীয়রা।
৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তের মধ্যে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাবাসীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সৃষ্টি হয়। পরে বিজিবির তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে ভারতীয়রা পিছু হটে এবং বিকেল ৪টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে গাছ কাটার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ঘটা ঘটনায় ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে বলেছে বিএসএফ। বর্তমানে পরিস্থিতির স্বাভাবিক আছে।
আই/এ