রোববার ভোরে সাইফ আলি খানের বাড়ি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে ধরা পড়েন হামলাকারী শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদ। তাকে ওই দিনই বান্দ্রা আদালতে পেশ করা হয়।
জেরার মুখে অবশেষে দোষ শিকার করেছেন অভিযুক্ত শরিফুল। বলেছেন, ‘হ্যাঁ আমিই করেছি।’ তার জবানবন্দি অনুযায়ী, পটৌদী প্যালেসে ডাকাতির চেষ্টা তিনি-ই করেন। সাইফের হামলাকারীও তিনি-ই।
জেরার মুখে শরিফুল আরও জানিয়েছেন, তিনি পটৌদী প্যালেস সম্পর্কে একেবারেই জানতেন না। জানতেন না, সাইফ আলি খানের বাড়িতে চুরি করতে ঢুকেছেন। এমনকি, অভিনেতাকে পর্যন্ত চিনতেন না। তিনি পরে জানতে পারেন, যাকে আক্রমণ করেছিলেন তিনি জনপ্রিয় অভিনেতা। অভিযুক্তকে পাঁচ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর পাশাপাশি, ঘটনা পুনর্নিমাণেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সে ক্ষেত্রে আক্রমণকারীকে ফের পটৌদী প্যালেসে নিয়ে যাবে পুলিশ।
মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, বৈধ নথিপত্র ছাড়াই ভারতে বসবাসকারী শরিফুল গেলো পাঁচ মাস ধরে এলাকার বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করছিলেন। ইতোমধ্যেই ওরলি এবং ঠাণে এলাকার দু'টি রেস্তরাঁ-পাব ও হোটেলে শরিফুলের কাজ করার কথা জেনেছে পুলিশ। জানা গেছে, ওরলি এলাকার রেস্তরাঁয় চুরির অভিযোগ উঠেছিল শরিফুলের বিরুদ্ধে। সেই কারণে তার চাকরিও গিয়েছিল গেলো আগস্টে। শনিবার দুই রেস্তরাঁয় হানা দেয় প্রশাসন। সইাফের উপর হামলার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত না থাকা সত্ত্বেও ওই দুই রেস্তরাঁ থেকে সরিয়ে দেয়া হয় পুরনো সাফাইকর্মীদের।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওরলির ওই রেস্তরাঁর ম্যানেজার জানান, যে ঠিকাদারের কাছ থেকে তারা কর্মী ভাড়া নেন সেই ঠিকাদারকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। কারণ তারা জানতে পেরেছেন, চুরির অভিযোগে শরিফুলকে বরখাস্ত করার পরও ওই ঠিকাদার তাকে কর্মী আবাসনে থাকার অনুমতি দিয়েছিলেন। শনিবার পুলিশ তদন্তে যাওয়ার পর বিষয়টি স্পষ্ট হয় রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের কাছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার ভোরে ঠাণে থেকে গ্রেপ্তার হন শরিফুল। বান্দ্রা আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। যদিও ধৃতের আইনজীবী সন্দীপ শেরানির দাবি, তার মক্কেল যে বাংলাদেশের নাগরিক, এমন কোনও প্রমাণ পুলিশের হাতে নেই। তা ছাড়া তার বিরুদ্ধে হত্যা বা প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার মতো কোনও অভিযোগও পুলিশ আনতে পারেনি।
জেএইচ