পাঁচ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বাড়ি ফিরেছেন সাইফ আলি খান। বাড়ির ভেতর প্রবেশের আগেই তিনি হাত নেড়ে বুঝিয়ে দেন একেবারে সুস্থ আছেন। তারপর বাড়ির ভেতরে চলে যান। তবে এ বার সাইফের নিরাপত্তায় আরও বেশি সচেতন পরিবার। কোনওরকম বিপদ এড়াতে তাঁর হাসপাতাল থেকে ফেরার আগেই পৌঁছে যান অভিনেতা রণিত রায়ের টিম। কারণ, এখন অভিনেতার নিরাপত্তা সংস্থা সাইফের পরিবারের সুরক্ষার দায়িত্ব সামলাবেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার অভিনেতার বাড়িতে প্রবেশের আগেই লোহার জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে এই আবাসনের ১০,১১,১২ তলা। সঙ্গে জায়াগায় জায়গায় রাখা হয়েছে সিসিটিভি। এছাড়াও রয়েছে ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী।
১৬ জানুয়ারি নিজের বাড়িতে সাইফ আলি খানের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। তিনি রণিত রায়ের নিরাপত্তা সংস্থার থেকে সিকিউরিটি নিয়েছেন বলেও শোনা গেয়েছে।
অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে সইফের সঙ্গে ঘটা এমন ঘটনার পর অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে, এত সিকিউরিটি থাকার পরেও কী ভাবে বাড়ির ভিতর প্রবেশ করলেন অভিযুক্ত? পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়ির মূল দ্বারে কোনওরকম সিসিটিভি ছিল না। সেই সময় বাড়ির মেন গেটে থাকা দুই নিরাপত্তারক্ষীই ঘুমিয়ে ছিলেন। তাই পাঁচিল টপকে ভিতরে প্রবেশ করেন তিনি। এমনকী, জুতোও খুলে ব্যাগে নিয়েছিলেন। যাতে আওয়াজ না হয় কোনওরকম। ফোনও বন্ধ করে দিয়েছিলেন সেই মুহূর্তে বলে খবর।
হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার সময় সাইফের সঙ্গে দেখা করতে আসেন প্রচুর মানুষ। শর্মিলা ঠাকুর, করিনা কাপুর, সারা আলি খান, ইব্রাহিম আলি খান-সহ অন্যান্য ঘনিষ্ঠরাও প্রতিদিন হাসপাতালে এসেছেন সাইফকে দেখতে।
চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, আগামী সাত দিন বিশ্রামে থাকতে হবে সাইফকে। এমনকি আগামী দু’দিন শুয়ে থাকার পরামর্শই দেয়া হয়েছিল। বাস্তবে অবশ্য দেখা গেল, একেবারে চাঙ্গা সাইফ।
জেএইচ