টুকিটাকি

স্বামীর জামিন পাইয়ে দেয়ার আশ্বাসের ‘ফাঁদ’ পেলে তরুণীকে গণধর্ষণ

ভাইকে জেল থেকে ছাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন অন্য ভাই। সেই আশ্বাস পেয়েই তার কাছে যান ভ্রাতৃবধূ। তারপরই প্রায় দুদিন ধরে গণধর্ষণের শিকার হলেন ১৮ বছরের তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাসিকের পঞ্চবটীতে।

কয়েকমাস আগে বাড়ির অমতে প্রেমিককে বিয়ে করেন নির্যাতিতা। সেই সময় নাবালিকা ছিলেন তিনি। তার বাপের বাড়ি লোক তরুণীর স্বামীর বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ গ্রেপ্তার করে যুবককে। সেই থেকেই জেলেই রয়েছেন তরুণীর স্বামী।

এরই মধ্যে ভাইয়ের জামিন পাওয়ার জন্য গারেন্টার জোগাড় করেছেন বলে আশ্বাস দেয় যুবকেরই অন্য ভাই। সেই কথা জানায় তরুণীকে। ২২ জানুয়ারি, মুম্বাইয়ে থাকা ভ্রাতৃবধূকে নাসিকে ডাকে সে। সকালেই সেখানে পৌঁছান তরুণী। পৌঁছে দেখেন আগে থেকে উপস্থিত রয়েছেন তার ভাসুর ও তার দুই বন্ধু। তারা তরুণীকে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়। অভিযোগ, সেখানে নির্যাতিতাকে খাবার খেতে দেয় অভিযুক্তরা। নির্যাতিতা খেতে রাজি না হলে তাকে মারধর করা হয়। তারপর অভিযুক্তের মধ্যে একজন ধর্ষণ করে তাকে। অত্যাচারে জ্ঞান হারান তরুণী।

নির্যাতিতা তার অভিযোগপত্রে আরও জানিয়েছেন, পরের দিন ২৩ তারিখ বৃহস্পতিবার জ্ঞান ফিরলে বুঝতে পারেন শরীরে একাধিক আঘত রয়েছে, হাঁটতে পারছেন না। সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করলে তিন অভিযুক্ত তাকে ফের মারধর করে বলে অভিযোগ। নির্যাতিতা আবারও জ্ঞান হারান বলে জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্তরা মদ্যপানের আসর বসায়। সেই সময় তরুণী শৌচালয়ে যাবেন বলে জানায়। অভিযুক্তরা তাকে সেই অনুমতি দিলেও সঙ্গে একজনকে পাঠায়। যাতে নির্যাতিতা পালাতে না পারেন। তরুণী ওই অভিযুক্তকে ধাক্কা মেরে নাসিক রোড এলাকায় চলে আসেন, তারপরই থানায় অভিযোগ জানাতে আসেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনায় ২৫ বছর বয়সি অমিত বিজয় ডামলে ও গোপাল রাজেন্দ্র নাগোলকরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আরও দুজন এই ঘটনায় সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে দাবি পুলিশের। তারা পলাতক। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ

 

জেএইচ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন গণধর্ষণে