রেলের কর্মচারীদের যে যৌক্তিক দাবি তা যতটুকু পূরণ করা সম্ভব তা করা হয়েছে। এরপরও তারা কেন আন্দোলন করছে এমন প্রশ্ন করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, রেলের কর্মচারীদের জন্য মানবিক কারণে যতটুকু করা দরকার করেছি। ওভারটাইম ইস্যুর সমাধান করা হয়েছে। এর বাইরের যেসব দাবি তা পূরণ করা সম্ভব নয়। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি কর্মকতা কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে তা দেয়া হবে কিনা না এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বিদেশি মিশনের যাদের ভাতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে তা অনেক আগের সিদ্ধান্ত ছিলো।
রোজায় যেন ঘাটতি না হয় এজন্য চাল, গমের মজুদ নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান অর্থ উপদেষ্টা।
এর আগে এদিন সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে আন্দোলনকারী কর্মচারীদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে রেল মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, আন্দোলনকারীদের যেসব দাবি, তা নিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের হাতে কিছু নেই, যা করার অর্থ মন্ত্রণালয়কে করতে হবে। আলোচনা চলছে, সমাধান হবে।
প্রসঙ্গত, মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স (ভাতা) যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধা সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা থেকে কর্মবিরতিতে গেছেন রেলের রানিং স্টাফরা। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ। কর্মচারীদের এ আন্দোলনের কারণে দেশব্যাপী ব্যাপক ভোগান্তির মুখে পড়েছেন যাত্রীরা।
ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখে যাত্রীদের জিম্মি করে আন্দোলন করার বিষয়টিকে দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।
তবে আন্দোলনকারী কর্মচারী ও শ্রমিক নেতারা বলছেন, তাদের দাবি মেনে নেয়া না পর্যন্ত কর্মসূচি থেকে পিছু হটবেন না তারা।
এসি//