নির্বাচনের সময়টা আসলে নির্বাচন কমিশনের হাতে নেই। গত ১৬ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অনুযায়ী চলতি বছরের ডিসেম্বরে অথবা ২০২৬ সালের জুন মাসে নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, সংস্কার কার্যক্রম যদি সংক্ষিপ্ত আকারে করতে হয়, রাজনৈতিক দলগুলো যদি সে পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায়, তাহলে আগামী ডিসেম্বর। আর যদি সংস্কার কার্যক্রম আরও একটু এক্সটেন্ডেড করতে দেয়া হয় তাহলে ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব। নির্বাচন কমিশন মোটামুটি এই সময়টা সামনে রেখেই প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ নিয়ে তিনি বলেন, একটি ভালো এবং সুষ্ঠু ভোটের পূর্ব শর্তই হচ্ছে একটি সুষ্ঠু ও নির্ভুল ভোটার তালিকা। বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই প্রথম সভাতেই সিদ্ধান্ত হয়, এবারের ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে। বাড়ি বাড়ি যাওয়ায় বাধ্যবাধকতা নেই এবং ভবিষ্যতে আর কখনো বাড়ি বাড়ি যাওয়া হবে কি না তা জানা নেই। কারণ এই সেবাটি সারা বছর সব সময় উন্মুক্ত।
ভুয়া ভোটারদের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, বর্তমান পদ্ধতিতে কিন্তু ভোটার তালিকা নিয়ে খুব বেশি জালিয়াতি করার সুযোগ নেই। কারণ এটা একটা ডাটাবেজের মাধ্যমে সেন্ট্রালি কন্ট্রোলড হয়, ক্রস চেক করা হয়। মূল সমস্যা হয় যখন মৃত ব্যক্তিদের যথাযথভাবে বাদ না দেয়া হয়। এটা যে পুরোটাই প্রতারণামূলক তাও না। মানুষ অতটা সচেতন নয় যে, কেউ মারা গেলে অফিসে গিয়ে ফরম পূরণ করে মৃত্যুর সংবাদ দেবে। এটা সামাজিক বাস্তবতা।
আই/এ