নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ সোহাগ (২৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো চারজন।
সোমবার (১০ মার্চ) দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি জানান, সোহাগের শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
এর আগে, গেলো রোববার (০৯ মার্চ) সকালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সোহাগের স্ত্রী রূপালী (২২)। তার শরীরের ৩৪ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। শনিবার (০৮ মার্চ) তাদের ১৮ মাস বয়সী শিশু কন্যা সুমাইয়াও মৃত্যুবরণ করে। সে ৪৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এ ছাড়াও, গেলো শুক্রবার (০৭ মার্চ) মারা যায় হান্নান। তার শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
গেলো ৩ মার্চ ভোররাতে সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দুটি পরিবারের ৮ জন দগ্ধ হন। তাদের সবাইকে দ্রুত জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধরা হলেন-রিকশাচালক মো. হান্নান (৫৫), ও তার পোশাককর্মী স্ত্রী নুরজাহান আক্তার লাকী (৩২), তাদের ছেলে সাব্বির (১২), মেয়ে সামিয়া (১০) ও জান্নাত (৫)। আরেক পরিবারের সোহাগ (২৫), তার স্ত্রী রুপালি বেগম (২২) ও তাদের একমাত্র মেয়ে সুমাইয়া (১৮ মাস)। তাদের মধ্যে হান্নানের শরীরের ৪৫ শতাংশ , শিশু সুমাইয়ার ৪৪ শতাংশ ,রুপালির ৩৪ শতাংশ , সাব্বিরের ২৭ শতাংশ , নুরজাহান লাকির ২২ শতাংশ , সামিয়ার ৯ শতাংশ ও জান্নাতের ৩ শতাংশ দগ্ধ হয়।
এসি//