হলুদের উপকারিতা সবাই জানে তবে গোলমরিচের সাথে এটি খেলে উপকারিতা আরও অনেক গুণ বেড়ে যায়। বিশেষ করে, হলুদের মূল উপাদান 'কারকিউমিন' শরীরে পুরোপুরি শোষিত হতে গোলমরিচ সহায়তা করে।
পুষ্টিবিদদের মতে, গোলমরিচের সঙ্গে হলুদ খেলে শরীর তার সর্বোচ্চ উপকারিতা পেতে সক্ষম হয়।
হলুদে উপস্থিত 'কারকিউমিন' শরীরের জন্য অনেক উপকারী। যেমন- এটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও প্রদাহনাশক গুণের অধিকারী। হলুদের কারকিউমিন শরীরে প্রবেশ করলেও এটি লিভার এবং অন্ত্রে দ্রুত পচন প্রক্রিয়া (মেটাবোলিজম) হয়ে যায়। এখানে গোলমরিচের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গোলমরিচে থাকা 'পিপেরিন' নামক উপাদানটি কারকিউমিনের শোষণকে বাধাপ্রদান করতে দেয় না, যার ফলে এটি রক্তে অধিক পরিমাণে শোষিত হয় এবং শরীরে এর উপকারিতা আরও বাড়িয়ে দেয়।
গোলমরিচের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ উপাদান, উচ্চমাত্রার ফাইবার, প্রোটিন এবং শর্করা। এই উপাদানগুলো শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে সহায়তা করে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, গোলমরিচের ‘পিপেরিন’ হলুদের উপকারিতা শোষণ করতে সাহায্য করে, যার ফলে এটি শরীরে আরও কার্যকরী হয়।
শুধু হলুদ এবং গোলমরিচ খেলে ফল পাওয়া যায় না, এর সঙ্গে প্রোটিন ও স্নেহপদার্থও খেতে হবে। যেমন- হলুদের জল খাওয়ার সময় তাতে ঘি মেশাতে পারেন। আবার হলুদ দুধ খেলে ক্রিমযুক্ত দুধের সাথে খাওয়াও সবচেয়ে কার্যকরী।
যদি কোনো শারীরিক অসুস্থতার কারণে ঘি বা দুধ খাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকে, তাহলে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। হলুদ এবং গোলমরিচ নিয়মিত সেবন করলে শরীরের উপকারিতা বৃদ্ধি পাবে। তবে পরিমাণ এবং উপযুক্ত খাদ্যাভ্যাস মেনে এটি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এসকে//