দেশজুড়ে

রংপুরে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১

রংপুরের বদরগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আন্তত আরও ৬ জন। শনিবার (৫ এপ্রিল) অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে।

বদরগঞ্জ থানার ওসি এটিএম আতিকুর রহমান ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।

আতিকুর রহমান জানায়, লাভলু মিয়া (৪৮) নামে একজন গুরতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেলে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মায়া যায়। তিনি বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের রাজারামপুর গ্রামে বাসিন্দা মসহীন মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বদরগঞ্জ পৌর শহরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কালুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা শহীদুল হক মানিকের সঙ্গে বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলীর সমর্থকদের মধ্যে বেলা ১২টা থেকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ৬ জন আহত হন। 

সংঘর্ষে আহতরা হলেন– পাঠানপাড়া গ্রামের মোন্নাফ (৫০), কাঁচাবাড়ি গ্রামের  শফিকুল (৫২) , একই গ্রামের ময়নুল (২৫) ও মিতু (৪০) , বিরামপুর গ্রামের  মোখতার  (৫৩) , পান দোকানদার মংলু (৪০) এবং মধুপুর গ্রামের লাভলু মিয়া। আহতদের প্রথমে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি ঘটলে ৫ জনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লাভলু মিয়া বিকাল সোয়া ৫টায় মারা যায়। 

এ সংঘর্ষের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ ধারণ করতে গেলে সাংবাদিকদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

ভিডিও ক্যামেরায় ছবি নিলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়েছে জানিয়ে বৈশাখী টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন মুকুল জানান, মোবাইল ফোনে ছবি নিতে গেলে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। দু’ঘণ্টা পর তার মোবাইল ফোন ফেরত দেওয়া হয়। এসময় নিউজ টুয়েন্টি ফোর টিভির ক্যামেরাপারসনের ফোনও কেড়ে নেওয়া হয়। তবে তার ফোন ফেরত দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সাংবাদিকরা।

এই সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবীর মানিক এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল হক মানিক, সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী সরকারকে সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন রংপুর | বিএনপি | সংঘর্ষ