বিএনপি

আসুন আমরা সবাই মিলে ড. ইউনূসকে সাহায্য করি: মির্জা ফখরুল

বায়ান্ন প্রতিবেদন

দেশের বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে উদ্যোগ নেয়ার জন্য নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একইসঙ্গে তিনি বিশ্বাস প্রকাশ করেন যে, ড. ইউনূস সফল হবেন এবং সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে তার প্রয়াসে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর বসুন্ধরায় ‘রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলামের দূরদৃষ্টিতে ক্ষমতায়ন বাংলাদেশ: নেতৃত্ব, ঐক্য এবং প্রবৃদ্ধির পথে কূটনীতি ও শাসনব্যবস্থার রূপান্তর’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি প্রফেসর ইউনূসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। আমার বিশ্বাস, তিনি সফল হবেন। আসুন, আমরা সবাই মিলে তাকে সাহায্য করি- আমরা নিজেরাও নিজেদের সাহায্য করি।’

এই প্রসঙ্গেই তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে দেশের জনগণের ওপর, বাইরের কারও ওপর নয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প, চীনের শি জিনপিং, ভারতের মোদি এসে আমাদের জন্য কিছু করে দিয়ে যাবে না। নিজেদের ভবিষ্যৎ আমাদের নিজেদেরই গড়ে তুলতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। যেভাবে গণঅভ্যুত্থানে সবাই এক হয়েছিল, আজও সেইভাবে এক হতে হবে। গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই এবং এটা কাউকে চাপিয়ে দেওয়া যায় না। এটা চর্চার বিষয়, লালন করার বিষয় ‘

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘৭১-এর মতো, ২০২৪ সালের আন্দোলনেও দেশের মানুষ এক হয়েছে। ভিন্নমত থাকতে পারে, কিন্তু দেশের স্বার্থে ঐক্য জরুরি।’

বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত ট্যারিফকে দেশের জন্য হুমকি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটি দ্রুত সমাধান না হলে সমস্যার গভীরতা আরও বাড়বে।’

তিনি বলেন, ‘কৃষিখাতের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। মাঠে যারা কাজ করছেন, তাদের প্রতি যত্নবান হতে হবে। তাহলেই অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমার চারপাশে হতাশা দেখছি, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি—ভবিষ্যৎ ভালো হবে। কারণ, আমরা বাংলাদেশের মানুষ সবসময় ভালোর জন্য লড়েছি, সংগ্রাম করেছি এবং জয়ী হয়েছি’।

তিনি দেশের তরুণদের ভূমিকাকে বিশেষভাবে তুলে ধরে বলেন, ‘৫২'র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ২৪-এর জুলাই-আগস্টের আন্দোলন পর্যন্ত আমাদের তরুণরাই ভ্যানগার্ড ছিল। তারাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।’

 

এসি//

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন মির্জা ফখরুল | ড. মুহাম্মদ ইউনূস