বলিউডে যেখানে প্রতিটি নিঃশ্বাসে চলতে হয় স্টাইল আইকনের ছায়া মেপে, যেখানে ফিগার ‘জিরো সাইজ’ না হলে ট্রেন্ডে থাকা যায় না, সেখানে এক নারী একেবারে উল্টো স্রোতে দাঁড়িয়েছেন। তিনি আর কেউ না সে সকলের প্রিয় বিদ্যা বালান । যিনি শাড়ির আঁচলে ঢেকে ফেলেছেন তথাকথিত ‘পারফেকশন’ তাড়নার অস্থিরতা। প্রমাণ করে দিয়েছেন স্টাইল মানে লুক নয় , নিজেকে ভালোবাসার অনুভব।
বিদ্যা বালান নিজেকে বদলাতে চেয়েছিলেন , আর সে নিজে হয়েছিলেনও। পরেছিলেন বডিকন ড্রেস , ছোট পোশাক, ভাবছিলেন অন্য নায়িকাদের মতো তিনিও হয়ে উঠবেন ক্যামেরার প্রিয়। কিন্তু আয়নায় তাকিয়ে নিজেকেই যেন চিনতে পারতেন না। মনে হতো ‘আমি তো সেই আমি নই’। অদ্ভুত লাগত নিজেকে।
এই গল্প সেই বিদ্যার , যিনি এখন শাড়ি পরেই রেড কার্পেট দাপিয়ে বেড়ান। যিনি বলেন , আমি লজ্জাহীন, আমি স্বাধীন। মানুষ প্রশংসা করতে বাধ্য , কারণ আমি আর কাউকে হুবহু নকল করি না।
বিদ্যা গণমাধ্যমকে বলেন , আমি অন্যদের মতো হতে পারতাম না। প্রথমে আমি চেয়েছিলাম , তবে আমার মধ্যে কখনই সে জায়গাটা ছিল না।
ক্যারিয়ারের শুরুর দিনগুলোতে বিদ্যার মাথায় ঘুরতো ‘জিম লুক’, ‘এয়ারপোর্ট লুক’, ‘পাপারাজ্জিদের ক্যামেরা’ সবই যেন এক এক করে আচ্ছন্ন করছিল তাকে। বলছিলেন , আমি ঠাকুরকে ডাকতাম যেন কেউ না আসে ছবি তুলতে! তবুও ক্যামেরা থেমে থাকত না।
মুম্বাইয়ের ঝলমলে সিনেমা দুনিয়ায় যেখানে বাহ্যিক সৌন্দর্যই সবসময় খবরের শিরোনামে থাকে। সেইখানে বিদ্যা নিজের জন্য খুঁজেছেন এমন এক জায়গা , যেখানে তিনি ফ্যাশনের দাসী নন , স্বাধীন নারীত্বের প্রতিনিধি।
এসকে//