জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ শনিবার (৩ মে) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ১২ দলীয় ঐক্যজোটের সঙ্গে সংলাপে বসার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি জানান, কমিশনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি সুনির্দিষ্ট জাতীয় সনদ তৈরি করা, যা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করবে।
ড. রীয়াজ আরো বলেন, ‘কমিশন কারও প্রতিপক্ষ নয়, বরং জাতীয় স্বার্থে সকল পক্ষকে একসাথে নিয়ে একটি কার্যকর সনদ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে।’ তিনি আশা করেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই সনদ প্রস্তুত হবে।
ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘একমত হওয়া সম্ভব না হলেও, রাষ্ট্র গড়ার ক্ষেত্রে একমত হতে পারবেন।’ তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য থাকতে পারে, তবে সবারই জাতীয় স্বার্থে একসাথে কাজ করার মানসিকতা থাকা উচিত। নেতাকর্মীরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে মতামত তুলে ধরবেন, তবে জাতীয় স্বার্থের দিকে নজর রেখে ছাড় দেয়ার মনোভাবও থাকতে হবে।
এ পর্যন্ত ২০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের আলোচনা সম্পন্ন করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এসব আলোচনায় বিভিন্ন সংস্কার বিষয়ক সুপারিশ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে পাঁচটি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন, বিচার বিভাগ এবং জনপ্রশাসন সংস্কার।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে। এসব আলোচনার মাধ্যমে ১৬৬টি সুপারিশের ওপর ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা হবে। গত বছর অক্টোবর মাসে অন্তর্বর্তী সরকার ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে, যেগুলোর সুপারিশগুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। এর নেতৃত্বে রয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। কমিশনের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে একাধিক রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা চলছে, এবং বর্তমান লক্ষ্য হচ্ছে একটি সুনির্দিষ্ট জাতীয় সনদ তৈরি করা, যা দেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এসি//