অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু অন্তর্বর্তীকালীন কাজ আছে। সরকার রুটিন কাজের বাইরে, যদি অনেক বড় কাজে হাত দিয়ে দেয়, তাহলে তার জন্য এটা কঠিন হয়ে যাবে। এই কঠিন কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় এমন কতগুলো বিতর্কের সম্মুখীন হতে পারে, তার যে অন্যতম কাজ, একটা সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়া, সেটাও কিন্তু সংকটে পড়তে পারে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনে এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দলটির সংলাপে এসব কথা বলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
তিনি বলেন, ‘এটা রেগুলার গভর্নমেন্ট না, ইউনিফাইড গভর্নমেন্টও না। এর মধ্যে নানা পথের মানুষ রয়েছে। সুতরাং গুরুত্ব দেওয়া দরকার, ভালো নির্বাচনের জন্য যা যা সংস্কার করা দরকার, যা যা প্রয়োজন সেটা করেই নির্বাচনী পথ রেখাটা আগেই করা দরকার। ওই সময় আমরা যতকুটু পারি সংস্কারের কাজকে আমরা এগিয়ে নেব। আমি প্রত্যাশা করব, আপনাদের মাধ্যমে (কমিশন) সরকার এ কাজটিকে (নির্বাচন) প্রধান কাজ হিসেবে নেবেন’।
তিনি আরও বলেন, কমিশন যদি সকল রাজনৈতিক দলের মধ্যে পুরোপুরি ঐকমত্য করতে চায় তাহলে বিষয়টি কঠিন হয়ে যাবে। সুতরাং যতটুকু ঐকমত্য করা সম্ভব সেটার মধ্যে দিয়েই তারা কমিশনকে আগাতে পরামর্শ দিয়েছেন। সুষ্ঠু নির্বাচনে যা যা সংস্কার সেটি করে যদি নির্বাচন করা যায় তাহলে একধাপ অগ্রগতি হবে।
সিপিবি সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা দেখলাম, সরকারের শুরুতে আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে কাউন্টার চুজ করে এমন কতগুলো কথা তৈরি করা হলো, যেন তাকে রিপ্লেস করে ৪৭ এর ধারাবাহিকতায় ২৪। এ ধরনের কতগুলো ঘটনা কিন্তু শুরুতে বিতর্ক তৈরি করেছে। আমরা আশা করব, এ বিতর্কগুলো বন্ধ করতে হবে’।
সিপিবির ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন, দলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, মিহির ঘোষ, অধ্যাপিকা এ এন রাশেদা, কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, কাজী রুহুল আমিন, রাগিব আহসান মুন্না, সাজেদুল হক রুবেল, আবিদ হোসেন ও অধ্যাপক ডা. ফজলুর রহমান.
আই/এ