গত জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানকে অনেকে মনেপ্রাণে মেনে নিতে না পেরে গুজব এবং অপতথ্য ছড়িয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে যে গুজব–অপতথ্য আছে, সেটা শুধু সেন্ট্রালি বা ভারত থেকে আসে, এ রকম না। বললেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম
রোববার (৪ মে) দুপুরে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটরিয়ামে আয়োজিত ‘ডিজিটাল ভেরিফিকেশন অ্যান্ড ফ্যাক্টচেকিং–বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘এখনো আমরা যেটা দেখতে পাচ্ছি, গ্রামাঞ্চলে অনেকেই এখনো আছেন, যাঁরা গত জুলাই–আগস্টের যে গণ–অভ্যুত্থান, এটা তাঁরা মনেপ্রাণে মেনে নেন নাই।ওখান (গ্রামাঞ্চল) থেকে এমনভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে মনে হচ্ছে, এই ইভেন্ট কোনো দিন ঘটে নাই; বরং এখানে একটা উল্টো ঘটনা ঘটছে। স্টুডেন্টরাই মূলত পুলিশকে মেরে ফেলছে এবং স্টুডেন্টরা আসলে জোর করে ক্ষমতা দখল করছে। এ রকম কিছু বয়ান আপনারা দেখবেন স্থানীয় জায়গা থেকে আসতেছে।’
প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে মাহফুজ আলম বলেন, ‘আমি বলছি না আপনারা পলিটিক্যাল জায়গা থেকে এটাকে ডিল করেন। কিন্তু যেটা মিথ্যা তথ্য এবং অপতথ্য, এটা আপনাদের মোকাবিলা করতে হবে’
তিনি বলেন, এটার সাথে ধর্মীয় কিছু ইস্যু আছে। বাংলাদেশের সমাজে যেহেতু ধর্মীয় একটা আবেগ আছে মানুষের ভেতরে। ওই আবেগকে পুঁজি করে অনেক সময় অনেক কর্মকাণ্ড হয়, যেটা হচ্ছে স্থানীয় জেলা বা অঞ্চলগুলোতে। এ বিষয়ে তথ্য অফিসারদের শক্ত ভূমিকা নেয়ার আছে।
তিনি আরও বলেন, একটা অপতথ্য বা একটা মিথ্যা নিউজ শুধু একজন ব্যক্তির ক্ষতি করে না। বরং একটা সোসাইটির পুরো ফেব্রিকটা নষ্ট করে দেয় এবং খুব ধীরগতিতে হলেও বাংলাদেশে এটা শুরু হয়েছে এবং আরও দিন যত যাবে, এটি বাড়তে থাকবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ তার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মিসইনফো এবং সাইবার ক্রাইমের শিকার হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা নিজামূল কবীর, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. মামুনুর রশীদ ভূঞা প্রমুখ।