নির্জন রাত। আকাশজুড়ে থমথমে ভাব। হঠাৎ, পাক বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বজ্রের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমানের ওপর। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ভারতীয় অহংকার রাফাল ভূপাতিত। বিস্ময়ে থমকে যায় দক্ষিণ এশিয়া। দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে এই অকল্পনীয় মুহূর্তের জন্ম দিয়েছেন এক পাকিস্তানি নারী পাইলট। নাম আয়েশা ফারুক।
আয়েশার ছোঁড়া এআইএম-১২০সি ক্ষেপণাস্ত্র মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই ধূলিসাৎ করে দেয় ২৮৮ মিলিয়ন ডলারের রাফালকে। শুধু ভারত নয়, সেদিন মাঝরাতের আকাশে চুরমার করে দিয়েছেন ফরাসি বিমানশিল্পের দাম্ভিক ইতিহাসও। আয়েশার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রেই বিশ্বে প্রথমবারের মতো ভূপাতিত হয় ফরাসি এই যুদ্ধবিমান।
এ ঘটনা নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সামরিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা, সংবাদমাধ্যম বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস, এমনকি ফরাসি গণমাধ্যমও রাফাল ধ্বংসের বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আয়েশা সেই পাইলট- পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম নারী যিনি সরাসরি শত্রু বিমানগুলো ভূপাতিত করেছেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনও এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
পাঞ্জাবের বাহাওয়ালপুরে জন্মগ্রহণ করা আয়েশা ছোটবেলাতেই হারিয়েছেন বাবাকে। জীবনের শুরু থেকেই সংগ্রামের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে তার। মায়ের অনুপ্রেরণায় ও সামাজিক বাধা অগ্রাহ্য করে আয়েশা ঠিক করেন তিনি হবেন একজন যুদ্ধবিমান পাইলট। পরিবার বা সমাজ যা-ই বলুক, লক্ষ্য থেকে একচুলও নড়েননি তিনি।
পাকিস্তানের রক্ষণশীল পরিবেশে একজন নারী হিসেবে বিমানবাহিনীতে প্রবেশ করাটাই ছিল কঠিন। তার ওপর, যুদ্ধবিমান চালানো তো ছিল বহু পুরুষের একচেটিয়া ক্ষেত্র। প্রশিক্ষণ চলাকালীন সময় নানা সন্দেহ আর কটাক্ষ তাকে পিছু ছাড়েনি।
নিজের স্বপ্ন পূরণে আয়েশা করেছেন অকল্পনীয় পরিশ্রম। আয়েশার দৈনিক রুটিন ছিল রীতিমতো দুঃসাধ্য। ভোর ৪টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলত প্রশিক্ষণ, ফ্লাইট অপারেশন, বিশ্লেষণ ও শারীরিক প্রস্তুতি। আয়েশা নিজেই বলেছেন, যুদ্ধবিমান চালানো বিলাসিতা নয়, এটা দায়িত্ব, এক ধরনের অঙ্গীকার।
আয়েশা শুধু একজন পাইলট নন, তিনি হয়ে উঠেছেন পাকিস্তানে নারীর সম্ভাবনার প্রতীক। পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে এখন পর্যন্ত ১৯ জন নারী পাইলট থাকলেও, যুদ্ধবিমানের জন্য প্রস্তুত একমাত্র নারী পাইলট তিনিই। বর্তমানে বাহিনীতে ৩১৬ জন নারী কাজ করছেন, যা পাঁচ বছর আগের তুলনায় তিনগুণেরও বেশি।
মুশাফ বিমানঘাঁটিতে এক সাক্ষাৎকারে আয়েশা জানান, ‘আমরা কেউ আলাদা নই। প্রশিক্ষণ, দায়িত্ব, সব এক।’
আয়েশা ফারুক প্রমাণ করেছেন, দৃঢ় মানসিকতা, কঠোর পরিশ্রম আর আত্মবিশ্বাস থাকলে নারী-পুরুষ ভেদাভেদ দূর হয়ে যায়। তিনি কেবল একটি যুদ্ধজয় করেননি, জিতেছেন সমাজের বহু বছরের গড়ে ওঠা ধ্যানধারণার বিরুদ্ধেও।
এমএ//