কুড়িগ্রামের রাজারহাটে হঠাৎ করে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ডুবে গেছে চরাঞ্চলের ফসলে ক্ষেত। লাভের আশায় ধারদেনা করে বাদামসহ চাষ করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে পানি বেড়ে যাওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে ডুবে যাওয়া ক্ষেতের অপরিপক্ক বাদাম তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। আলুর পর বাদামেও মারাত্মক ক্ষতির লোকসান গুনতে হবে কৃষকদের।
রোববার(১৮ মে) সকালে উপজেলার বিদ্যানন্দ ও ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নে সরেজমিনে দেখা যায় তিস্তা নদীর পানি বেড়ে গিয়ে চরাঞ্চল ডুবে গেছে।
কৃষকরা তাদের অপরিপক্ক বাদাম মরিচসহ বেশ কয়েকটি ফসল পানি থেকে টেনে তুলছেন। ভারতের গজলডোবা দিয়ে পাহাড়ী ঢল নেমে আসায় এ অঞ্চলে পানি বেড়ে যায় বলে চরাঞ্চলবাসী জানান।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে তিস্তা নদীর জেগে উঠা চরে চিনাবাদম ১৭৫ হেক্টর, পাট ২০ হেক্টর, মরিচ ৩ হেক্টর, শাক-সবজি ৫ হেক্টরসহ চাষাবাদ করা হয়। কিন্তু পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের মাঝারি- ভারি বৃষ্টি হওয়ায় তিস্তা নদীর পানি বেড়ে গিয়ে এসব রবিশস্য পানিতে তলিয়ে গেছে।
উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চর বিদ্যানন্দ গ্রামের কৃষক মাঈদুল ইসলামের ৬ একর জমির চিনা বাদাম, সরিফুল ইসলামের ২একর জমির চিনা বাদাম, আব্দুল কাদেরের ৩ একর জমির চিনা বাদাম, আব্দুল জলিলের ৫একর জমির চিনা বাদাম, বাতেন মিয়ার ১০একর জমির চিনাবাদাম, রহিদুল ইসলামের ১একর জমির চিনাবাদাম, সাইদুল ইসলামের দেড় একর জমির চিনা বাদাম, লতিফ মিয়ার ৪একর জমির চিনাবাদাম, ওমর আলীর ৩ একর জমির চিনা বাদাম ও আবুল কালামের ১ একর জমির চিনাবাদাম তলিয়ে গেছে। তারা পরিবার পরিজন নিয়ে তলিয়ে যাওয়া চিনাবাদাম উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
কৃষক মাঈদুল ইসলাম বলেন, ‘ধার-দেনা করে ৬ একর জমিতে বাদাম চাষ করেছি। রাক্ষুসী তিস্তা গ্রাস করে নিলো'।
রাজারহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুরন্নাহার সাথী বলেন, হঠাৎ করে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার বিদ্যানন্দ ও ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের নামার চর কিছুটা ডুবে গেছে। কৃষকদের উঠতি বাদাম তোলার পরামর্শ দিয়েছেন। দ্রুত পানি কমে গেলে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হবে না।
আই/এ