ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। আশ্রয় শিবির, হাসপাতালসহ সব জায়গায় বোমা হামলায় প্রতিদিন প্রাণ যাচ্ছে ফিলিস্তিনিদের। গাজার একটি স্কুলে ভয়াবহ বোমা হামলা চালালো ইসরাইলি বাহিনী।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার খবরে বলা হয়, উপত্যকাটির ফাহমী-আল-জারজাভী স্কুলটিতে বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুজন রেড ক্রস কর্মী, এক সাংবাদিক এবং ১১ বছর বয়সি গাজার কনিষ্ঠতম সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ইয়াকিন হাম্মাদসহ একাধিক শিশু রয়েছে। হামলার শিকার স্কুলটি একটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। ওই স্কুলটিতে কয়েক শ’ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে, পৃথক প্রতিবেদনে আলজাজিরা বলছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় গাজায় ইসরাইলি হামলায় ১২ জনের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর পাশাপাশি হাজার হাজার শিশু চরম অপুষ্টির শিকার হয়ে মৃত্যু ঝুঁকিতে আছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)। সংস্থাটি জানিয়েছে, বর্তমানে গাজায় ৭০ হাজারেরও বেশি শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে।
এছাড়া ইসরাইলি হামলায় খান ইউনিসের পূর্বে বানি সুহেইলায় আরেক শিশুর মৃত্যুর খবর জানিয়েছে ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা। ওই শিশুর পরিবারকে লক্ষ্য করে চালানো হয় ড্রোন হামলা। উত্তর গাজার জাবালিয়ায় আরেকটি হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন দুই নারী ও এক শিশু। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলের ১৯ মাসের হামলায় এখন পর্যন্ত যত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৩১ শতাংশই শিশু। উল্লেখ্য, এ হিসাব শুধু শনাক্তকৃত মৃতদের নিয়ে; বহু মৃত্যুর তথ্য এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। ফলে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
এমআর//