উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় বরিশাল এলাকায় রাত থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বরিশাল নৌবন্দরকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে। অভ্যন্তরীণ নৌরুটে লঞ্চ চলাচল সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে বলে বরিশাল নৌবন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ভোরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বরিশাল নৌবন্দর কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম রেজা।
তিনি জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপের কারণে বৈরী আবহাওয়া সন্দেহে নৌবন্দরকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে ১৬টি অভ্যন্তরীণ রুটে ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। বড় লঞ্চ চলাচল নিয়ে বিকেলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে বুধবার রাত থেকে বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় ভোগান্তিতে পরেছে স্কুল ও অফিসগামী মানুষ। এদিকে বরিশাল নদী বন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে চঞ্চচলাচল বন্ধ থাকায় ভোলা, মেহেন্দীগঞ্জসহ বিভিন্ন রুটের যাত্রীরা পরেছেন ভোগান্তিতে।
বরিশালের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের গতিবেগ সর্বোচ্চ ছিল ১৫ কিলোমিটার এবং সর্বনিম্ন ১০ কিলোমিটার।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের জলানুসন্ধান বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বুধবার সকাল থেকে বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ নদীর ১২টি পয়েন্টের মধ্যে ৬টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বিভাগের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় here বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৪০ মিলিমিটার। এছাড়া, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা নিয়েও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
টানা বৃষ্টির কারণে স্কুল-অফিসগামী মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। তাছাড়া লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় ভোলা, মেহেন্দীগঞ্জ, হিজলা, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন জেলার যাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
এসি//