জাতীয়

শিগগিরই চালু হচ্ছে না জাতীয় চক্ষু হাসপাতাল

চিকিৎসক ও কর্মচারীদের সঙ্গে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সংঘর্ষের ঘটনায় গত বুধবার সকাল থেকেই ঢাকার জাতীয় চক্ষু হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ সব ধরনের চিকিৎসাসেবা বন্ধ রয়েছে কবে নাগাদ চিকিৎসাসেবা চালু হবে তা জানাতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ।

রোববার (১ জুন) হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, চক্ষুবিজ্ঞান ইনিস্টিউটের সেবা বন্ধ থাকবে। রোগীদের অন্য জায়গায় সেবা নিতে বলা হয়েছে। তবে হাসপাতাল কবে চালু হবে তা স্পষ্ট করে কিছুই বলা যাচ্ছে না

সরেজমিনে জানা গেছে, হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক ও নার্স নেই। সকাল থেকেই হাসপাতালের সামনে চিকিৎসা নিতে আসা অনেক রোগী জড়ো হয়েছেবিভিন্ন স্থান থেকে আসা নতুন রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে ফেরত যাচ্ছেন। এছাড়াও আগে যেসব রোগী হাসপাতাল থেকে আগে চিকিৎসা নিয়েছেন, তাদের অনেকে ফলোআপের জন্য এসেছেন। আবার অনেকে আসছেন অপারেশনের জন্য। হাসপাতাল বন্ধ থাকায় সেবা না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা রোগীরা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন,জুলাই আন্দোলনে আহত ৫০ জন বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেনআত্মহত্যার চেষ্টা করা চারজন সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং একজন সিএমএইচে ভর্তি আছেন। এ ছাড়া প্রায় ১৫০ জন সাধারণ রোগী ছিলেন, যারা নিরাপত্তার অভাবে হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন।

জুলাই ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল আকবর কামাল বলেন, ‘উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলছি। হাসপাতাল বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের যে কষ্ট হচ্ছে, সেটিও আমরা বোঝাচ্ছি।

তিনি  বলেন, জুলাইযোদ্ধারা হাসপাতালের ৮ থেকে ১০ কর্মচারীর একটি তালিকা দিয়েছে। তারা বলছে, ওই কয়েকজন বাদে বাকিরা হাসপাতালে এসে সেবা দিতে কোনো বাধা নেই। আমরাও তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি, হাসপাতালটি বন্ধ থাকায় মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে।

হাসপাতাল কবে চালু হচ্ছেএ বিষয়ে  প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, আমরা আলাদাভাবে কিছু বলতে চাচ্ছি না। এ মুহূর্তে করণীয় প্রসঙ্গে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি আকারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে

এদিকে গতকাল স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের  এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আহতদের প্রতি সম্মান রেখে সীমিত পর্যায়ে সেবাদান অব্যাহত থাকলেও সার্বিক চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২৯ মে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যকর্মীরা হাসপাতালের অভ্যন্তরে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ফলে ওই দিন থেকেই হাসপাতালের নিয়মিত কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে শুধু জুলাই অভ্যুত্থানে আহতরা অবস্থান করছেন। সারাদেশ থেকে আসা অন্য চক্ষু রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে মন্ত্রণালয় দুঃখ প্রকাশ করছে।

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #চক্ষু হাসপাতাল