আর্কাইভ থেকে করোনা ভাইরাস

করোনা আবহে ঈদের প্রস্তুতি নেই মুসলিম বিশ্বে

করোনা আবহে ঈদের প্রস্তুতি নেই মুসলিম বিশ্বে

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই দ্বিতীয়বারের মত পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করতে যাচ্ছে মুসলিম বিশ্ব। তবে মহামারীর কারণে কঠোর বিধিনিষেধ এরাপ করেছে অনেক দেশ। সংক্রমণ ঠেকাতে ঈদকে সামনে রেখে লকডাউন দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যসহ কয়েকটি মুসলিম দেশ। ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে কোন কোন দেশে। নানা বিধিনিষেধের বেড়াজালে এবারও অনেকটাই মলিন ঈদ আনন্দ।

তুরস্কে করোনা সংক্রমণ ব্যাপক বেড়ে গেছে এপ্রিলের শুরু থেকেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গেল ২৯ এপ্রিল তিন সপ্তাহের লকডাউন দিয়েছে সরকার। চলবে ঈদের পর ১৭ মে পর্যন্ত। এসময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ। ঈদের ছুটিতে সব পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে। এক শহর থেকে আরেক শহরে যেতে লাগবে সরকারি অনুমতিপত্র।  

ঈদকে সামনে রেখে ১৫ মে পর্যন্ত কঠোর লকডাউন দিয়েছে পাকিস্তান। কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই ঈদ উদযাপন করবে পাঞ্জাব, সিন্ধু, রাওয়ালপিন্ডি, খায়বার পখতুনখোয়া এবং কাশ্মিরের জনগণ। প্রাদেশিক সরকার জানায়, এ সময় চলবে না গণপরিবহন। বন্ধ থাকবে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিং মল এবং বাজার।   

ইরাকে রমজান জুড়ে রাত্রিকালীন লকডাউন চলছে। তবে ঈদকে ঘিরে ১২ মে থেকে শুরু হবে ২৪ ঘণ্টার লকডাউন। চলবে ১০ দিন।

আরেক মুসলিম দেশ ওমানে জামাতে ঈদের নামাজ আদায়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ঈদের ছুটিতে গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ঘরেই ঈদ উদযাপনের পরামর্শ দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার। প্রতিবেশি ও আত্মীয় স্বজনকে খাবার ও উপহার না পাঠানোর অনুরোধ করেছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। এমনকি নগদ টাকার পরিবর্তে ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে ঈদের সালামী দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আমিরাত সরকার।  

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ইরান। দেশটিতে ঈদের ছুটিতে ভ্রমণ ও গণজমায়েতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বিধিনিষেধ না মানলে এক কোটি রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা গুণতে হবে।  

রোববার থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন শুরু হয়েছে তিউনিশিয়ায়। ঈদে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে না যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছে দেশটির সরকার।

ঈদের আগে ও পরের ১২ দিন অভ্যন্তরীণ ভ্রমণে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া সরকার।   

এদিকে করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় লকডাউন দেয়নি সৌদি আরব। ঈদের আগে ক্রেতাদের ভিড় কমাতে ফজরের নামাজের পর থেকেই শপিং মল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। তবে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন করোনা | আবহে | ঈদের | প্রস্তুতি | নেই | মুসলিম | বিশ্বে